প্রসঙ্গত, গ্যাসের মূল্য বাড়ানোয় ক্ষোভ প্রকাশ করে গত রবিবার (৭ জুলাই) সংসদে বক্তব্য দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক রাশেদ খান মেনন। গ্যাসের দাম নিয়ে সংসদে আলোচনার জন্য তিনি কার্যপ্রণালী বিধির ৬৮ ধারায় নোটিশ দিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার চলতি বাজেট অধিবেশন শেষ হচ্ছে। কিন্তু তার নোটিশ নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। নোটিশ গৃহীত হয়েছে না বাতিল হয়েছে, তাও তাকে জানানো হয়নি। এ কারণে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে নোটিশের প্রসঙ্গ টেনে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘রুলস অব প্রসিডিউরে আছে, সুতরাং এটা সম্পর্কে জানার অধিকার আমার আছে। অবশ্য আমাদের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দীন খান বাদল আমাকে বলছিলেন, আপনি খামাকা এটা নিয়ে ইনসিস্ট করে লাভ নেই।’
স্পিকারের উদ্দেশে মেনন বলেন, ‘যদি এই আলোচনাটা না হয় তাহলে সংসদ আরও গরিব হবে বলে আমার ধারণা। আমি এ ব্যাপারে আপনার বক্তব্য চাচ্ছি।
মেননের বক্তব্যের জবাবে বৈঠকের সভাপতি ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, ‘আপনারা শুধু বকাউল্লাহ বকাই নন, আর আমরা শোনাউল্লাহ নই, আপনারা বক্তব্য রাখুন, সে বিষয়ে কিন্তু সরকার কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়। আপনার ৬৮ বিধির নোটিশটি আমি সেদিনও বলেছি, এটা স্পিকারের বিবেচনাধীন আছে। বিবেচনা করা হবে না, এমন তো কোনও কথা নেই। বিষয়টি আমরা আপনাকে পরে জানাব।’
রবিবার মেনন সংসদে বলেছিলেন, গ্যাসের মূল্য নিয়ে সংসদে আলোচনার জন্য তিনি ৬৮ বিধিতে একটি নোটিশ দিয়েছেন। হাসানুল হক ইনু, মইনুদ্দিন খান বাদল, ফজলে হোসেন বাদশা, মোস্তফা লুৎফুল্লাহ ও লুৎফননেসা খান তার নোটিশে সমর্থন দিয়েছেন।