শেষ হলো বাজেট অধিবেশন

সংসদ অধিবেশন২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব পেশ ও পাসের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশন।  বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের সমাপ্তি সংক্রান্ত রাষ্ট্রপতির আদেশ পাঠ করার মধ্য দিয়ে অধিবেশনের ইতি টানেন।

গত ১১ জুন শুরু হয় এই অধিবেশন। বাজেট উপস্থাপনা অর্থমন্ত্রী শুরু করলেও হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরে তা শেষ করেন প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা। যা দেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন।

অর্থমন্ত্রীর প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সরকারি ও বিরোধী দলসহ অন্যান্য দলের ২৬৯ জন সংসদ সদস্য ৫৫ ঘণ্টা ৩৬ মিনিট আলোচনা শেষে গত ৩০ জুন পাঁচ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকার বাজেট পাস হয়েছে।

সমাপনী বক্তব্যে শিরীন শারমিন চৌধুরী সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, আমাদের এই সাফল্যের পথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে অব্যাহত রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। সংসদীয় গণতন্ত্রের অব্যাহত চর্চার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সংসদকে কটাক্ষ, কটূক্তি করা, অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়া প্রত্যাশিত নয়। তা গণতন্ত্রের ভিতকে দুর্বল করে। অসাংবিধানিক শক্তিকে উৎসাহিত করে। অতীতে আমরা দেখেছি সামরিক আইন জারি করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের ঘটনা। সংসদকে অমর্যাদা করা দেশ জাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনে না।

তিনি বলেন, সংসদ জনগণের কথা বলে। আসুন সংসদের মর্যাদা সমুন্নত রাখি। সংবিধানের আলোকে জনগণের উন্নয়নে কাজ করি।

স্পিকার সংসদ পরিচালনায় সহযোগতিার জন্য, সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা, ডেপুটি স্পিকারসহ সকল সংসদ সদস্যকে ধন্যবাদ জানান।

বাজেট আলোচনায় সরকারের মন্ত্রী, সরকারি-বিরোধী দলের সদস্যরা অনেকেই সঞ্চয়পত্রে ওপর উৎসে কর আরোপের বিরোধিতা করেন। যদিও তা আমলে নেননি অর্থমন্ত্রী।

সংসদ সচিবালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২১ কার্যদিবসের এই অধিবেশনে মোট ৭টি বিল পাস হয়। এছাড়া ৭১ বিধিতে পাওয়া ২৩৫টি নেটিশের মধ্যে ১২টি নোটিশ গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে আলোচনা হয়েছে ৫টি। ৭১(ক) বিধিতে ৭৫টি নোটিশ আলোচিত হয়েছে।

অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর উত্তর দেওয়ার জন্য প্রশ্ন জমা পড়ে ৯৩টি। যার মধ্যে সংসদ নেতা জবাব দেন ৪১টি প্রশ্নের। এছাড়া অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের জন্য দুই হাজার ২৭৪টি প্রশ্ন জমা পড়ে; মন্ত্রীরা উত্তর দেন এক হাজার ৬৫৮টির।