আগের সিদ্ধান্ত বহাল, অবৈধ রিকশা উচ্ছেদে মাঠে নামবে ভ্রাম্যমাণ আদালত

গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন সাঈদ খোকন

রাজধানীর প্রধান দুই সড়কসহ তিন রুটে রিকশা চলাচল বন্ধের সিন্ধান্তই বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ও অবৈধ রিকশা উচ্ছেদ সংক্রান্ত কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি বলেন, ‘আমাদের আগের সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। শিগগিরই অবৈধ রিকশা উচ্ছেদে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।’

রবিবার (১৪ জুলাই) দুপুরে ডিএসসিসির নগর ভবনে অবৈধ যানাবহন নিয়ন্ত্রণে গঠিত কমিটির সঙ্গে রাজধানীর রিকশা-ভ্যান শ্রমিক-মালিক সমিতির ২২ প্রতিনিধির বৈঠক হয়। এ বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান ডিএসসিসির মেয়র।

সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমরা আজ রিকশা-ভ্যান মালিক-শ্রমিকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে আলাপ করেছি। এতে তারাও আমাদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে তারা প্রস্তাব করেছেন, রাজধানীর কোথাও যেন কোনও অবৈধ রিকশা এবং ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করতে না পারে। নগর কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। আমরাও অবৈধ রিকশা এবং অলিতেগলিতে চলাচলকারী ব্যাটারিচালিত রিকশা উচ্ছেদে শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ওয়ার্ড কাউন্সিলর, থানা প্রশাসন ও ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তাসহ রিকশা চালক-মালিক ভাইদের সহযোগিতায় আমরা আলাপ-আলোচনা করে রিকশা উচ্ছেদের উদ্যোগ গ্রহণ করবো।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ অবস্থায় জনদুর্ভোগ এড়াতে বিআরটিসির পক্ষ থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী ২০-৩০টি বাস নামানো হবে। তবে সর্বনিম্ম ২০টি বাস নামানো হবেই; যাতে রিকশাযোগে সম্মানিত যাত্রীরা অলিগলি থেকে সড়কের সংযোগস্থলে গিয়েই গণপরিবহন পান। আমার দেখেছি, রিকশা সংকটে অনেক যাত্রী দুর্ভোগে পড়েন। তাই বিআরটিসি আরও বাস নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এসব বাস থাকবে সংযোগ সড়কের পাশে।’

প্রাইভেটকারও যানজটের জন্য একটা কারণ। সেগুলোর বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে–সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘আমরাও বলছি যে, সড়কে যানজটের জন্য শুধু রিকশাই দায়ী নয়; অন্য আরও কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রাইভেটকারও দায়ী। আমরা দেখেছি, পাঁচজন সদস্যের একটা পরিবারের সাতটার অধিকও গাড়ি থাকে। যত্রতত্র পার্কিং করা হয়। অতিরিক্ত প্রাইভেট কার রাস্তায় নামে। এসব নিয়ন্ত্রণে আমরা বিআরটিএর সঙ্গে কথা বলেছি। উনারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। আমরাও যানজটের জন্য দায়ী কারণগুলো একটা একটা করে সমাধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’