সংসদ ভবনে এরশাদের দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন

এরশাদের নামাজে জানাজাজাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সংসদ ভবনের টানেলে অনুষ্ঠিত এই জানাজায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদসহ মন্ত্রিসভার সদস্য ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশগ্রহণ করেন।

জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সামরিক সচিব শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এছাড়া স্পিকারের পক্ষে সংসদের সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

জানাজার আগে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এরশাদের জীবনী পাঠ করেন। এছাড়া জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা তোফায়েল আহমদ মরহুমের কর্মময় জীবনের কথা তুলে ধরেন। এরশাদের পরিবারের পক্ষে রওশন এরশাদ বক্তব্য রাখেন।

জানাজায় আসা লোকজনজানাজা পরিচালনা করেন জাতীয় সংসদের মসজিদের ইমাম মাওলানা আবু রায়হান।

জানাজায় অংশ নেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম,  মাহাবুব-উল আলম হানিফ, আবদুস সোবহান গোলাপ, সাবের হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, মুহাম্মদ ফারুক খান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক ছিলেন। ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী লিটনও জানাজায় যোগ দেন। এছাড়া বিএনপির ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জিএম সিরাজ, জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার জানাজায় অংশ নেন।  

জানাজায় আসা লোকজনসংসদ ভবন থেকে এরশাদের মরদেহ নেওয়া হবে জাতীয় পার্টির কাকরাইল অফিসে। পরে বাদ আসর বায়তুল মোকাররমে তৃতীয় জানাজা হবে। রাতে সিএমএইচের হিমঘরে লাশ রাখা হবে।

আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকাল ১০টায় হেলিকপ্টারে করে রংপুরে নেওয়া হবে। রংপুর ঈদগাহ মাঠে বাদ জোহর তার চতুর্থ জানাজা হবে। দাফন নিয়ে আগামীকাল সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।  

প্রসঙ্গত, রবিবার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এরশাদ। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।