এনভয় কনফারেন্স: ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা দেবেন রাষ্ট্রদূতরা

এনভয় কনফারেন্সইউরোপের সঙ্গে সহায়তার (এইড) পরিবর্তে অংশীদারিত্ব সম্পর্ক চায় বাংলাদেশ। এটি কীভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়ে ওই মহাদেশে কর্মরত রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোচনা করবেন। এই কনফারেন্সে ইউরোপভিত্তিক ১৫ জন বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে লন্ডনে এনভয় কনফারেন্স করবেন প্রধানমন্ত্রী। সম্মেলনে ইউরোপের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে পরিকল্পনা দেবেন এই রাষ্ট্রদূতরা। কনফারেন্সে যোগ দিতে আগামী ১৯ জুলাই ইংল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ইউরোপে চ্যালেঞ্জ, সুযোগ ও অগ্রাধিকার নিয়ে প্রেজেন্টেশন তৈরির জন্য রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রত্যেক রাষ্ট্রদূত পাঁচ মিনিট করে তাদের প্রেজেন্টেশন দেবেন। পরে প্রশ্ন-উত্তর পর্ব হবে।’ তিনি বলেন, ‘ব্রেক্সিটসহ ইউরোপে পরিবর্তিত অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কী অবস্থান নেবে, সে বিষয়ে রাষ্ট্রদূতরা কথা বলবেন।’

আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার পরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কূটনীতি কী হবে, বাণিজ্য এবং অভিবাসননীতি কী হবে, সে বিষয়েও আলোচনা হবে। বাংলাদেশ-ইউরোপ সম্পর্কে বৈশ্বিক পরিস্থিতি কী প্রভাব ফেলছে, সেই বিষয়েও রাষ্ট্রদূতদের কথা শুনবেন প্রধানমন্ত্রী।  

এই কর্মকর্তা  বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি জাঁকজমকের সঙ্গে উদযাপন করতে চায় বাংলাদেশ। এ বিষয়ে রাষ্ট্রদূতরা তাদের পরিকল্পনা জানাবেন।

উল্লেখ্য, ইউরোপের সঙ্গে অংশীদারিত্ব সম্পর্ক তৈরির মাধ্যমে ওই মহাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যবৃদ্ধি, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়তা চায় বাংলাদেশ। তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম সফর ছিল ইউরোপের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ জার্মানি।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রফতানিকারক অঞ্চল ইউরোপ, যেখানে ১ হাজার কোটি ডলারের বেশি পণ্য পাঠানো হয়। এছাড়া, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্সসহ অন্যান্য দেশেও প্রচুর বিনিয়োগ করেছে বাংলাদেশ।

সরকারের একজন কর্মকর্তা বলেন, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের জন্য রাশিয়া থেকে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা নেওয়া হচ্ছে, যা আমাদের দেশকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বর্তমানে অন্যতম বড় সমস্যা রোহিঙ্গা। প্রথম থেকেই এ বিষয়ে ইউরোপ অনেক সোচ্চার বলেও তিনি মন্তব্য করেন।