সংসদীয় কমিটির প্রত্যেক সদস্যের পাঁচ প্রতিনিধি সরকারি খরচে হজে যাচ্ছেন

ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির প্রত্যেক সদস্যের পাঁচ জন করে প্রতিনিধি এবার সরকারি খরচে হজ করতে সৌদি আরব যাচ্ছেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়টি অবহিত করা হয়।

এর আগে ১০ জুন অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে প্রত্যেক সদস্যের প্রতিনিধি হিসেবে পাঁচ জন করে হজে পাঠানোর সুপারিশ করা হয়। এর বাইরেও এবার হজে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সংসদীয় কমিটির তিন সদস্য প্রতিনিধি হিসেবে সরকারি খরচে হজে যাচ্ছেন। তারা হলেন কমিটির সভাপতি মো. হাফেজ রুহুল আমীন মাদানী, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী ও রত্না আহমেদ।

ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির মোট ৯ জন সদস্য রয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যরা হলেন সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, শওকত হাচানুর রহমান (রিমন), মনোরঞ্জন শীল গোপাল, মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ্, এইচ এম ইব্রাহিম ও তাহমিনা বেগম। এ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী টেকনোক্র্যাট কোটায় হওয়ায় তিনি সংসদীয় কমিটির সদস্য নন। ফলে ৯ জন সদস্য প্রত্যেকে পাঁচ জন করে প্রতিনিধি হিসেবে এবার ৪৫ জনকে সরকারি খরচে হজে পাঠানোর সুযোগ পেয়েছেন।

মঙ্গলবার কমিটির বৈঠক শেষে সভাপতি মো. হাফেজ রুহুল আমীন মাদানী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সংসদীয় কমিটির সদস্যরা তাদের প্রতিনিধি হিসেবে পাঁচ জন করে সরকারি খরচে পাঠানোর জন্য সুপারিশ করেছে। মন্ত্রণালয় এটি চূড়ান্ত করেছে এবং আজকের বৈঠকে তা আমাদের অবহিত করেছেন।’

হজ চিকিৎসক দলকে সহায়তা দিতে গাড়িচালক, মালি, জনসংযোগ কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্যসহ যারা সংশ্লিষ্ট নন তাদের পাঠানোর বিষয়ে জানতে চাইলে কমিটির সভাপতি জানান, ‘যেটা হওয়ার তা হয়ে গেছে। এখন এটা নিয়ে আলোচনা করে কোনও লাভ হবে না। তাই আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করিনি। তবে ভবিষ্যতে যাতে এরকম না হয় সেটা দেখতে হবে।’

বৈঠকে হজ ২০১৯ কার্যক্রমের সর্বশেষ অগ্রগতির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমানের ৭৪টি ও সৌদি এয়ারলাইন্সের ৭৬টি ফ্লাইটে ৫৪ হাজার ৭৬৫ জন হজযাত্রী সৌদি আরব গিয়েছেন। জেলা প্রশাসক ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাঠ প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে সব হজযাত্রী এবং হজ গাইডকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে, সৌদি আরবের চিকিৎসাকেন্দ্র হতে প্রদত্ত স্বয়ংক্রিয় চিকিৎসা ব্যবস্থাপত্রের মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে।

হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাত্রার প্রথম ফ্লাইট গত ৪ জুলাই শুরু হয়েছে। আর শেষ ফ্লাইট হবে আগামী ৫ আগস্ট। অপরদিকে সৌদি আরব থেকে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১৭ আগস্ট। শেষ হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।

বৈঠকে মন্দির, শ্মশান ও আশ্রম সংস্কারে তালিকা প্রণয়নে স্থায়ী কমিটির সদস্য ও প্রত্যেক এলাকার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে মন্ত্রণালয় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এছাড়া চাঁদ দেখা কমিটিতে সংসদীয় কমিটির সভাপতিসহ সদস্যদের সম্পৃক্ত করা হবে বলে জানানো হয়।

কমিটির সভাপতি হাফেজ রুহুল আমীন মাদানীর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, শওকত হাচানুর রহমান (রিমন), মনোরঞ্জন শীল গোপাল, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, এইচ এম ইব্রাহিম, জিন্নাতুল বাকিয়া, মোসা. তাহমিনা বেগম এবং রত্না আহমেদ। এছাড়া, বিশেষ আমন্ত্রণে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।