আমি মনে করি প্রিয়া সাহাকে সরকার গ্রেফতার করবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী





পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন (ছবি: সংগৃহীত)বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ‘ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় প্রিয়া সাহাকে সরকার গ্রেফতার করবে— এমনটি বিশ্বাস করেন না পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। বুধবার (২৪ জুলাই) নিজ দফতরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘সরকার তাকে গ্রেফতার করবে, এটি আমি বিশ্বাস করি না।’

এ ব্যাপারে সরকার কী ভাবছে জানতে চাইলে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমি পুরো সরকারের কথা বলতে পারবো না। তবে আমার ব্যক্তিগত মত, আমরা বিষয়টি উপেক্ষা (ইগনোর) করবো। এরকম পথের কাঁটা বহু আসবে এবং আপনি বিষয়গুলো উপেক্ষা করেন।’
উল্লেখ্য, প্রিয়া সাহা গত ১৯ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ৩৭ মিলিয়ন মানুষ ‘ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’ হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি প্রতিনিধি দলে আমি, যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আমেরিকাস অনুবিভাগের মহাপরিচালক ও আমার পরিচালক ছিলেন। এবং বেসরকারিভাবে অনেকে সেখানে গেছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমেরিকানরা ওদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং এজন্য আমাদের অনুমতি লাগে না। গোটা বিষয়টা কীভাবে হয়েছে, আমরা এটা জানি না।’
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি তাকে ফোন করেছিলেন এবং তাকে তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) যুক্তরাষ্ট্রে থাকতেই বলেছেন, যা বলা হয়েছে সেটি একদম বানোয়াট ও মনগড়া।
তিনি বলেন, “আমাকে অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ফোনে বলেছেন, ‘ওই ভদ্রমহিলা (প্রিয়া সাহা) খুব আতঙ্কের মধ্যে আছেন। এই বক্তব্য দেওয়ার জন্য তাকে অ্যারেস্ট করবেন কিনা।’ আমি বললাম, সরকার অ্যারেস্ট করবে বলে আমার মনে হয় না। তিনি নিজের প্রটেকশনের জন্য সরকারের কাছে সহায়তা চাইতে পারেন। বাংলাদেশে অনেকে অনেক কিছু বলে যাচ্ছে এবং তাই বলে আমরা অ্যারেস্ট করি না।”
আবদুল মোমেন আরও বলেন, ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আমাকে দ্বিতীয় প্রশ্ন করলেন যে সরকার তার (প্রিয়া সাহা) বিরুদ্ধে মামলা করবে কিনা। আমি বললাম, এটা আমি বলতে পারবো না। এটা তো বুঝতে হবে কী জিনিস। না বোঝা পর্যন্ত আমার মনে হয় না সরকারের এত সময় আছে মামলা করার।’
মন্ত্রী বলেন, তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার সময় ঘটনাটি শোনেন এবং এরপর লন্ডনে চলে আসেন।
তিনি বলেন, ‘আমি হার্ভার্ডে থাকার সময়ে কেউ আগ্রহভরে প্রশ্ন করেনি। ওখানে কেউ কেউ বলছিল, নিজ স্বার্থে তিনি (প্রিয়া সাহা) অ্যাসাইলাম চাইছেন। দুই বাচ্চা ওখানে পড়ে। তার স্বামী একটা ছোটখাটো চাকরি করেন। বাচ্চাদের ওখানে রেখে পড়ানোর ক্ষমতা নেই। তাই অ্যাসাইলাম চাইছেন—এ ধরনের গল্প শুনেছি।’