দেশে ফলের ঘাটতি ৫৭ শতাংশ





সংসদীয় কমিটির বৈঠকদেশে চাহিদার তুলনায় ফলের ঘাটতি ৫৭ শতাংশ। ১১ দশমিক ৬৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে ফল উৎপাদন হয় ৫ দশমিক শূন্য ৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন। ঘাটতির পরিমাণ ৬ দশমিক ৬১ মিলিয়ন মেট্রিক টন।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যপত্রে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
কার্যপত্রের তথ্যমতে, বাংলাদেশে প্রচলিত ও অপ্রচলিত ফলের জাত ৭০টি। দেশের শূন্য দশমিক ১৬ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে ফল চাষ হয়। উৎপাদিত ফলের মধ্যে জানুয়ারি-এপ্রিল সময়ে ১৯ শতাংশ, মে-আগস্ট সময়ে ৬০ শতাংশ ও সেপ্টেম্বর-ডিসেম্বর সময়ে ২১ শতাংশ উৎপাদিত হয়।
বৈঠকে জানানো হয়, বাংলাদেশ সামগ্রিকভাবে ফল উৎপাদনে বিশ্বের ২৮তম দেশ। আম উৎপানে সপ্তম ও পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম স্থানে রয়েছে।
বৈঠকে জানানো হয়, ফল বিভাগ, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এখন পর্যন্ত ৩৫ প্রজাতির ফলের ৮৪টি উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করেছে। এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২৪ প্রজাতির ফলের ৮৪টি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৫ প্রজাতির ফলের ৭টি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর থেকে ফলের ২ প্রজাতির ২টি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে।
কমিটির সভাপতি মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, ইমাজ উদ্দিন, মোসলেম উদ্দিন, আব্দুল মান্নান, মামুনুর রশীদ, জয়া সেন গুপ্তা ও হোসনে আরা বৈঠকে অংশ নেন।