আজ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা, নামানো হয়েছে সমুদ্রবন্দরের সতর্ক সংকেত

আবহাওয়া অধিদফতর ভবন

সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ দুর্বল হয়ে পড়ায় সমুদ্রবন্দরের সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে নদীবন্দরের এক নম্বর সতর্ক সংকেত আজ বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। লঘুচাপ দুর্বল হলেও আজও থেমে থেমে কোথাও কোথাও হালকা আবার কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। বুধবার (১৪ আগস্ট) সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ফেনীতে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উপকূল ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে ছত্তিশগড়ের উত্তরাঞ্চল ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থান করছে। এদিকে মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় আছে এবং তা উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় আছে। এর প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারলে সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল আলম বলেন, লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে স্থলভাগে উঠে আসার দেশের সমুদ্র বন্দরের সর্তক সংকেত নামিয়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তারপরও মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোতে উপকূলের কাছাকাছি থেকে চলতে বলা হয়েছে।

তিনি জানান, সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে ফেনীতে। সে তুলনায় ঢাকায় বৃষ্টির পরিমাণ কম ছিল। আগামীকাল এই বৃষ্টির মাত্রা আরও কমে আসবে। তবে থেমে থেমে কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়ার এক সর্তকবার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং সমুদ্র বন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। তবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে আগামীকাল (১৫ আগস্ট) সকাল পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া নদীবন্দরের জন্য জারি করা ১ নম্বর সতর্ক সংকেত আপাতত বজায় থাকবে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, আজ সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১১৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে ফেনীতে। এছাড়া ঢাকা বিভাগের মধ্যে মাদারীপুরে ৫৪ মিলিমিটার, ময়মনসিংহের নেত্রকোনায় ৩৫ মিলিমিটার, সিলেট বিভাগের মধ্যে শ্রীমঙ্গলে ২৯ মিলিমিটার, রাজশাহী বিভাগের মধ্যে তাড়াশে ৭২ মিলিমিটার, রংপুর বিভাগের মধ্যে তেঁতুলিয়ায় ১৮ মিলিমিটার, খুলনার মধ্যে সাতক্ষীরায় ৬৮ মিলিমিটার এবং বরিশালের মধ্যে ভোলায় ৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।