রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও দক্ষতা বিকাশে জরুরি বিনিয়োগের আহ্বান ইউনিসেফের

ইউনিসেফ

বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া পাঁচ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শিশুর শিক্ষা ও দক্ষতা বিকাশের সুযোগ সৃষ্টির জন্য জাতিসংঘের শিশু সংস্থার (ইউনিসেফ) নতুন প্রতিবেদনে জরুরি বিনিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে।

মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রকাশিত ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এ আহ্বান জানানো হয়।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চরম সহিংসতার ফলে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা দক্ষিণ-পূর্ব বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা নাগরিকদের বিরাট অংশ শিশু ও তরুণদের মধ্যে হতাশার ঝুঁকি ব্যাপক মাত্রায় বেড়ে যাচ্ছে। এসব শিশুদের মধ্যে থেকে ইউনিসেফ ও তার সহযোগীরা দুই হাজার ১৬৭টি শিক্ষাকেন্দ্রে এক লাখ ৯২ হাজার রোহিঙ্গা শিশুর শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করেছে।

তারপরও ২৫ হাজারের বেশি শিশু কোনও ধরনের শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে না এবং এখনও অতিরিক্ত ৬৪০টি শিক্ষাকেন্দ্রের প্রয়োজন। এছাড়া, ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের ৯৭ শতাংশ এখনও কোনও ধরনের শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে না।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর বলেন, ‘বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শিশু ও তরুণদের জন্য শুধুমাত্র বেঁচে থাকাই যথেষ্ট নয়। তাদের দীর্ঘমেয়াদি ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দেওয়া করাও প্রয়োজন। এসব কারণে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় গুণগত শিক্ষা এবং দক্ষতা বিকাশের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

প্রতিবেদনে জানানো হয়, আশ্রয়কেন্দ্রের শিক্ষাকেন্দ্রগুলোতে অধ্যয়নরত কম বয়সী শরণার্থী শিশুদের জন্য আরও আনুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং শেখার উপকরণ ক্রমান্বয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে।

রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য আরও কাঠামোবদ্ধ শিক্ষার ব্যবস্থা করতে সহায়তার জন্য ইউনিসেফ এবং অন্যান্য সংস্থাগুলো মিয়ানমার ও বাংলাদেশ সরকারকে জাতীয় শিক্ষামূলক সম্পদ যেমন, শিক্ষা পাঠ্যক্রম, শিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল ও মূল্যায়ন পদ্ধতি ব্যবহারের অনুমতি প্রদানের জন্য ইউনিসেফ আহ্বান জানিয়েছে।

ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি টমো হোজুমি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো কিশোর-কিশোরীরা প্রতিনিয়ত যেসব ঝুঁকি যেমন— পাচার, নির্যাতন মেয়েদের ক্ষেত্রে বাল্যবিয়ের মুখোমুখি হয়, তা মোকাবিলার জন্য তাদের দক্ষ করে গড়ে তোলা।’

তিনি আরও বলেন, আরও বৃহৎ অর্থে, ইউনিসেফ এই প্রজন্মের তরুণদের নিজেদের পরিচয় তৈরিতে সহায়তা করছে এবং যে কঠিন চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে তারা যাচ্ছে, সেটার সমাধানের অংশ হিসেবে তাদের গড়ে তোলা হচ্ছে। বাসস