রোহিঙ্গা সাক্ষীদের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চেয়েছে সরকার





রোহিঙ্গা (ছবি: সংগৃহীত)রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি তদন্তের জন্য গঠিত ইন্ডিপেনডেন্ট কমিশন অব ইনকোয়ারির সদস্যরা রবিবার (১৮ আগস্ট) সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ৬টি বৈঠক করেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এসব বৈঠকে তদন্ত কমিটির সদস্যদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, যেসব রোহিঙ্গা তাদের সঙ্গে মানবাধিকার লঙ্ঘনের তথ্য দেবে তাদের সুরক্ষার নিশ্চয়তা কী। পাশাপাশি কমিটি মিয়ানমারের প্রেসিডেন্টের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ার পর এর ভবিষ্যৎ কী হবে, সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।
ইন্ডিপেনডেন্ট কমিশন অব ইনকোয়ারির প্রতিনিধি দলটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ অনুবিভাগ ও রোহিঙ্গা সেল, স্বরাষ্ট্র এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।
জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত কেনজো ওশিমা এই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অন্য সদস্যরা হচ্ছেন প্রফেসর অং টুন থেট, প্রফেসর ইউশিহিরো নাকানিশি, লিনা ঘোষ এবং খিন মিউ মিয়াট সো। সোমবার (১৯ আগস্ট) তারা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের অধিকাংশ প্রশ্নের সদুত্তর তারা দিতে পারেনি।’
এ ধরনের ঘটনায় সাক্ষীর সুরক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ, যে রোহিঙ্গা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিয়োগ করবেন, তিনি যখন রাখাইনে ফেরত যাবেন, তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে বলে এই কর্মকর্তা জানান। এছাড়া সাক্ষীদের বিষয়ে গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়ে তারা কী পদক্ষেপ নেবে সেটিও জানতে চাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের অনুরোধ করেছি মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য, যাতে করে জাতিসংঘ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক তদন্ত দলকে যেন রাখাইনে কাজ করতে দেওয়া হয়।’
এছাড়া তাদের রিপোর্ট বাংলাদেশের সঙ্গেও শেয়ার করার অনুরোধ করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।


প্রসঙ্গত, ইন্ডিপেনডেন্ট কমিশন অব ইনকোয়ারির কাজ হচ্ছে রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেসব অভিযোগ আছে সেগুলোর তদন্ত করা এবং দোষী ব্যক্তিদের সাজা নিশ্চিত করা।