সড়কে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অপরাধে জব্দ করা গাড়িগুলো রাখা হয় রাজধানীর নয়টি অস্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। বছরের পর বছর ধরে ডাম্পিং গ্রাউন্ডগুলো পড়ে থাকা গাড়িগুলোতে বৃষ্টি হলেই জমে পানি। যা থেকে জন্ম নেয় মশা। রাজধানীতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার পর নিজ উদ্যোগে ও সিটি করপোরেশনকে চিঠি দিয়ে মশার মারার ওষুধ ছিটানো হয়েছে। তবু কমেনি মশার উপদ্রব।
ডাম্পিং গ্রাউন্ডগুলোর দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা জানান, রাতে মশার উপদ্রব বাড়ে। ডাম্পিং স্টেশনের ভেতরে দায়িত্ব পালনের সময় দুই থেকে তিনটি মশার কয়েক জ্বালাতে হয়। তাতেও কাজ হয় না। এই গরমে পড়তে হয় ফুল হাতা জামা।
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) আগারগাঁওয়ের দুটি ডাম্পিং গ্রাউন্ড ঘুরে দেখা গেছে, এসব জায়গার কয়েকবছর আগের ও বর্তমান চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। এক সময় ডাম্পিং গ্রাউন্ডগুলোতে ময়লা আবর্জনার পাশাপাশি লতা-পাতা জন্মে ঝোপ-ঝাড়ে পরিণত হয়েছিল। তবে বর্তমানে সেই চিত্র পাল্টেছে। পরিষ্কার করা হয়েছে গ্রাউন্ড। তবে ডাম্পিং করে রাখা ট্রাক, বাস, প্রাইভেটকার, লেগুনা ও সিএনজিগুলোর রাখা হয়েছে খোলা আকাশের নিচে। যে কারণে গাড়িগুলোর ছাদ ও বডি নষ্ট হচ্ছে রোদ বৃষ্টির কারণে। ছাদ ফুটো হয়ে বৃষ্টির পানি ঢুকছে গাড়ির ভেতরে। ফলে জমে থাকা পানিতে এডিসের মতো মরণঘাতী মশা জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
২০ আগস্ট বেলা ৩টার দিকে ওই গ্রাউন্ডের সামনে থাকা পুলিশের একটি বক্সে বসে কথা হয় মিজানুর রহমানের সঙ্গে। এসময় মশার উপদ্রব থেকে বাঁচার জন্য পুলিশের এই সদস্যকে কয়েল জ্বালাতে দেখা যায়।
আগারগাঁও এলাকার অপর ডাম্পিং গ্রাউন্ডে দেখা গেছে, সেখানে মোটরসাইকেলের সংখ্যা অনেক বেশি। সঙ্গে অন্যান্য গাড়িও রয়েছে। অনেক বছর ধরে বিপুল সংখ্যক ট্রাক-প্রাইভেটকার স্তুপ করে রাখতে দেখা গেছে ওই গ্রাউন্ডে। এছাড়া এই গ্রাউন্ডের একপাশে পুরনো মোটরসাইকেলগুলো ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। ফলে এসব গাড়ির ভেতরে মশা জন্ম নিচ্ছে কিনা তা দেখার সুযোগ হয়নি। তবে মশা জন্ম নেওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে এসব গাড়ির মধ্যে বা নিচেও।
আনিসুর রহমান বলেন, ডাম্পিং গ্রাউন্ডে মশা মারার জন্য আমাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনা রয়েছে। এছাড়া সিটি করপোরেশনে চিঠি দিয়ে ওদের মাধ্যমে স্প্রে করানো ব্যবস্থা করা হয়েছে। চিঠি দেওয়ার পর সিটি করপোরেশন থেকে লোকজন এসে স্প্রে করে গেছে। আমাদের পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এখনও কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হননি।
ছবি: রাফসান জানি