বঙ্গবন্ধু হয়রানিমুক্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা চেয়েছিলেন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সুশাসন ও আইনের শাসনের ওপর জোর দিয়েছিলেন মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু হয়রানিমুক্ত প্রশাসনিক ব্যবস্থা চেয়েছিলেন। তিনি সুশাসনের মৌলিক কাঠামোগুলো তৈরি করেছিলেন। অতি অল্প সময়ের মধ্যে একটি শাসনতন্ত্র প্রণয়ন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বঙ্গবন্ধুর সেই নীতি অনুসরণ করায় দারিদ্র্য দূরীকরণ, কৃষি, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে।

শনিবার (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যথাযথ সম্মান জানানো হবে। শেখ হাসিনার সরকার দেশ পরিচালনা করলে আমরা লক্ষ্য অর্জন করতে পারব। বাংলাদেশের উন্নয়ন হলো মানবিক উন্নয়ন। বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক নীতির লক্ষ্য ছিল গরিবের সেবা, যা তার কন্যা শেখ হাসিনা অনুসরণ করছেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তর করতে আমাদের জনবলকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে হবে। আমাদের বাণিজ্য বাড়াতে হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে ‘অর্থনৈতিক কূটনীতি’র ওপর জোর দিয়েছে।

এফবিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। আরও বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এম এ কাশেম, মাহবুবুর রহমান, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, মীর নাসির হোসেন এবং এ কে আজাদ প্রমুখ।