সূত্রগুলো বলছে, এ বছরের মধ্যেই গুরুত্বপূর্ণ দুই মিশন দিল্লি ও মস্কোয় পেশাদার কূটনীতিক পাঠানো হবে।
দিল্লিতে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলির মেয়াদ শেষ হবে এ বছরের শেষ নাগাদ। একটি সূত্র বলছে, সেখানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ ইমরানকে পাঠানোর চিন্তা করছে সরকার। ২০১৪ সালে মোয়াজ্জেম নিয়োগ পাওয়ার আগে দিল্লিতে সাবেক রাষ্ট্রদূত তারিক করিমকে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল।
সূত্রমতে, মস্কোয় ১০ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করা এস এম সাইফুল ইসলামকে ঢাকায় ডেকে পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে সচিব (দ্বিপক্ষীয়) কামরুল আহসানকে পাঠানো হতে পারে।
এর আগে কামরুল আহসানকে ব্রাসেলসে পাঠানোর চিন্তা থাকলেও জটিলতার কারণে পিছিয়ে আসে সরকার বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ আব্দুল মুহিতকে অস্ট্রিয়া পাঠানোর চিন্তা করছে সরকার। কুনমিংয়ে বর্তমান কসনাল জেনারেল মোহাম্মাদ তৌহিদুল ইসলামকে ডেনমার্কে পাঠানোর বিষয়ে ভাবছে সরকার। কারণ, এর আগে ২০১৪ সালে মিলানে কনসাল জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়ে একজন নারী সহকর্মীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করায় তাকে ঢাকায় শাস্তিমূলক বদলি করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, জাপানের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমাকে নিউ ইয়র্কে আবাসিক প্রতিনিধি হিসেবে বদলি করায় খালি হচ্ছে টোকিও। রাবাব ফাতিমা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের পরে নিউ ইয়র্কে দায়িত্ব নেবেন। তুরস্কের বর্তমান রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দিকীকে গুরুত্বপূর্ণ এই মিশনে পাঠানো হতে পারে বলে জানান তিনি।
এছাড়া এ বছর মিসর ও জর্ডানে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূতদেরও মেয়াদ শেষ হচ্ছে। আর লেবাননের রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় ডেকে পাঠানো হয়েছে।
আগামী বছরের শুরু থেকে মাঝামাঝি সময়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ইউরোপীয় মিশন— জার্মানি, বেলজিয়াম ও সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতদের মেয়াদ শেষ হবে। এসব জায়গায় কাদের পাঠানো হবে, সেটি নিয়েও এখন থেকেই চিন্তাভাবনা চলছে।
গত জুনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সেপ্টেম্বরের মধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রাষ্ট্রদূত পর্যায়ে বড় ধরনের রদবদল হবে। তিনি আরও বলেছিলেন, তিনি জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পরে বড় ধরনের কোনও পরিবর্তন হয়নি। আগামীতে পরিবর্তন করা হবে।