‘বিশ্ব নদী দিবস ২০১৯’-এর এবারের প্রতিপাদ্য ‘নদী একটি জীবন্ত সত্তা, এর আইনি অধিকার নিশ্চিত করুন।’
শরীফ জামিল বলেন, ‘এই ত্রুটিপূর্ণ উদ্যোগের ফলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বড় বড় নদী দখলদার চির স্থায়ী বৈধতা পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রশাসন ও রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় নদীগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। এই দখল-দূষণের সঙ্গে জড়িত সবার শাস্তির দাবি জানাই।’
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা জানান, নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে সাধারণত জনগণকে অনেক হুমকির সম্মুখীন হতে হয়। সরকারের পাশাপাশি জনগণকেও নদীরক্ষায় কাজ করতে হবে। ফৌজদারি আইন ও সংশোধন করতে হবে। যেন দখলদাররা নদীকর্মীদের বিরুদ্ধে কোনও ভয়ভীতি দেখানোর মতো দুঃসাহস না পায়। দেশের অভ্যন্তরীণ নদীর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক নদীগুলোকেও রক্ষায় কাজ করতে হবে। প্রতি বছর গড়ে ১ টি নদী ও ১৫টি খাল বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। যা সারা বিশ্বের জন্য হুমকি স্বরূপ বলেও জানানো হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ‘ব্শ্বি নদী দিবস উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ’-এর আহ্বায়ক ও বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন, সদস্য সচিব শেখ রোকন, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের সমন্বয়ক মিহির বিশ্বাস, স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহম্মদ কামরুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।