রোহিঙ্গাদের আবাসস্থলে সরকারি স্থাপনা তৈরির বিষয়ে অবগত নয় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পিকেএসএফ এর অনুষ্ঠানে অতিথিদের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবুল মোমেন

রাখাইনে রোহিঙ্গাদের আবাসস্থলে সরকারি স্থাপনা তৈরির বিষয়ে বাংলাদেশ অবগত নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেন, ’‘ মিয়ানমার সেখানে সরকারি স্থাপনা করছে এটা আমার জানা নাই, তবে নিশ্চয় তারা একটি ব্যবস্থা করবে। তারা বারবার বলছে, ওয়াদা করে বলছে ‘তাদের জন্য ব্যবস্থা করছি’।’’

উল্লেখ্য, বিবিসি গতকাল এক প্রতিবেদনে বলেছে, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের গ্রামে ক্যাম্প স্থাপন করছে মিয়ানমার সরকার।

তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মিয়ানমার সরকার এখন বাংলাদেশসহ আরও কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতদের রাখাইন সফরে নিয়ে যেতে রাজি হয়েছে। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে রাখাইন এলাকায় দেশটির সেনাবাহিনী ও অন্য সম্প্রদায়ের দ্বারা হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার বাংলাদেশে পালিয়ে আসার ঘটনার পর ওই এলাকায় রাষ্ট্রদূতদের পরিদর্শনের ঘটনা হবে এবারই প্রথম। 

তিনি বলেন, ’ তারা আমাদের রাষ্ট্রদূতসহ আরও কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে যাবে ওই এলাকা দেখানোর জন্য। তারা আগে এ বিষয়ে রাজি ছিল না, কিন্তু সম্প্রতি তারা রাজি হয়েছে।’

এর প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করে মন্ত্রী বলেন, ‘‘মিয়ানমার সরকার আমাদের বলছে তারা প্রত্যাবাসনের জন্য তৈরি আছে। তখন আমরা প্রশ্ন করেছিলাম, ‘তোমরা তৈরি আছো তার নমুনা কি?’’ এর উত্তরে তারা রাষ্ট্রদূতদের সেখানে পরিদর্শনে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।

রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়ি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যখন এখানে এসেছে তারা ঘরবাড়ির কথা চিন্তা করে আসে নাই। যখন তাদের যাওয়া শুরু হবে তখন ঠিকই তারা ঘরবাড়ি তৈরি করে নেবে।

প্রত্যাবাসন বিষয়ে তিনি বলেন, ’আমরা কাউকে জোর করে পাঠাবো না। তাদের দেশের লোকদের ফেরত নিয়ে যাওয়ার দায়-দায়িত্ব তাদের (মিয়ানমার সরকারের)। সেখানে তারা ব্যর্থ হয়েছে এবং তারা তাদের লোকদের রাজি করাতে পারে নাই।’

ভাসানচর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি নিয়ে আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি। এটা সাময়িক ব্যবস্থা। এটা কোনও সমাধান নয়।’