নতুন কাস্টমস আইন করতে সংসদে বিল

জাতীয় সংসদ (ছবি: সাজ্জাদ হোসেন)

আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত কাস্টমস ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিধি-বিধান সন্নিবেশিত করে এ সংক্রান্ত আইন হালনাগাদ করতে সংসদে বিল উত্থাপন হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ‘কাস্টমস বিল-২০১৯’ উত্থাপন করলে তা পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। সংযোজন-বিয়োজনের পাশাপাশি পাকিস্তান আমলে প্রণীত ইংরেজি আইনকে বাংলায় রূপান্তর করা হচ্ছে।

বিশ্ব কাস্টমস সংস্থার (ডব্লিইউসিও) তত্ত্বাবধানে আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত মান সংক্রান্ত কনভেনশন-রিভাইজড কিয়োটো কনভেনশন এবং সেইফ ফ্রেমওয়ার্ক অব স্ট্যান্ডার্টস অনুযায়ী আমাদনি ও রফতানি পণ্যের ‘সাপ্লাই চেইনের’ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন নতুন বিধি আইনে সন্নিবেশ করা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, এটি আইনে কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১৯৬৯ সালের কাস্টমস অ্যাক্ট বাতিল হয়ে যাবে।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে পরামর্শ করে বিধি প্রণয়ন করতে পারবে সরকার। এতে আরও বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি কোনও পণ্যের কাস্টমস শুল্ক নির্ধারণের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট পণ্যের ট্যারিফ শ্রেণিকরণ ও অরিজিন বিষয়ে অগ্রিম রুলিং চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে আবেদন করতে পারবে। বোর্ড সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রুলিং দিতে পারবে। শুল্ক ফাঁকি বা আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে কোনও ব্যক্তি কর্তৃপক্ষকে খবর দিলে রাজস্ব বোর্ড তাকে পুরস্কার দিতে পারবে। 

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য তথা আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে কাস্টমস ব্যবস্থাপনা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে সরকার তথা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক বহুমখী সংস্কার ও আধুনিকায়ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কাস্টমস সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা অন্তর্ভুক্ত করে ইংরেজি ভাষায় প্রণীত বিদ্যমান আইনের পরিবর্তে বাংলায় একটি আধুনিক কাস্টমস আইন প্রণয়ন করার প্রয়োজনীয়তা দীর্ঘদিনের।