গত ১ জুলাই মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান রিয়াজুর রহমান দায়িত্ব ছাড়ার পর চেয়ারম্যানের পদটি খালি হয়ে যায়। এরপর কমিশনের সদস্য মো. নজরুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও তিনিসহ অন্য সব সদস্যের মেয়াদ শেষ হয়েছে ৬ আগস্ট। এরপর থেকে অভিভাবক শূন্য রয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
তবে, চেয়ারম্যানসহ নতুন সদস্য নিয়োগে কাজ শুরু করেছে বাছাই কমিটি। গত, ৫ সেপ্টেম্বর কমিটি একদফা বৈঠক করে চেয়ারম্যানসহ অন্য সদস্যদের সুপারিশের বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর আরেক দফা বৈঠক করে সুপারিশ চূড়ান্ত করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্পিকার শিরীন শারমিন বলেন, ‘আমরা চেয়ারম্যানসহ অন্য সদস্য বাছাইয়ে একদফা বৈঠক করেছি। আরেক দফা বৈঠক করে সুপারিশ চূড়ান্ত করা হবে। প্রত্যেক পদের বিপরীতে দুই জন করে সুপারিশ করা হবে।’ বাছাই কমিটির সুপারিশ থেকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেবেন বলেও তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, মানবাধিকার আইন ২০০৯ অনুযায়ী চেয়ারম্যানসহ নতুন কমিশন নিয়োগে ৭ সদস্যের বাছাই কমিঠি গঠনের কথা বলা হয়েছে। আইন অনুযায়ী জাতীয় সংসদের স্পিকার এই বাছাই কমিটির সভাপতি হবেন। এর অন্য সদস্যরা হচ্ছেন—আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সরকারি দল ও বিরোধী দলের একজন করে সংসদ সদস্য।