শর্টসার্কিট থেকে নির্বাচন ভবনে আগুন, পৌনে ৪ কোটি টাকার ক্ষতি

নির্বাচন ভবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা (ফাইল ছবি)বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে ইসির তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে—ওই আগুনের ঘটনায় আর্থিকভাবে তিন কোটি ৭৭ লাখ ২১ হাজার ১৬৯ টাকার ক্ষতি হয়েছে।  বৃহস্পিতবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল কমিটি ইসি সচিবালয়ের সচিব মো. আলমগীরের কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেন। তদন্ত কমিটির প্রধান ও ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগুনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) কন্ট্রোল ইউনিট ৫৯টি, ব্যাটারি ৪৭টি, ব্যালট ৭৮৯টি, মনিটর এক হাজার ২৩৩টি, ক্যাবল ৫৫৭ সেট, মনিটরের ব্যাটারি ৬৪টি, ল্যাপটপ একটি ও বার কোড স্ক্যানার দু’টি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

কমিশন সূত্র জানায়, নির্বাচন ভবনের বেজমেন্টের যে রুমটিতে আগুন লেগেছিল সেখানে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ বারবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে, কক্ষটির একাংশে বৈদ্যুতিক লাইনে স্পার্কিং হচ্ছে। বেশ কয়েকবার স্পার্কিং হয়ে আগুন ও ধোঁয়ার সৃষ্টি হয়। এরপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে কিছু যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আগুন নেভানোর সময় ছিটানো পানিতেই বেশিরভাগ যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাতে নির্বাচন ভবনের বেজমেন্টে একটি কক্ষে আগুন লাগে। রাত ১১টার পর আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত পৌনে ১টার দিকে আগুন নেভানো হয়।

আগুন লাগার ঘটনায় নির্বাচন কমিশন অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমানের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে। এই কমিটি বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।