১০ বছরে প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের স্থান এক নম্বরে: সংসদে অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালগত ১০ বছরে সারা বিশ্বে জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের স্থান এক নম্বরে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার সংসদে ৩০০ বিধিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, গত ২৮ আগস্ট ইউরোপের থিঙ্ক ট্যাংক স্পেকটেটার্স ইনডেক্স বিশ্বের শীর্ষ ৪৬টি দেশের ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত জিডিপি প্রবৃদ্ধির ওপর একটি তথ্য প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যায়, গত ১০ বছরে সারা বিশ্বে জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের স্থান এক নম্বরে। এই সময়ে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে ১৮৮ শতাংশ। একই সময়ে পৃথিবীর প্রথম সারির অন্যান্য দেশের অবস্থান ছিল চীন ১৭৭ শতাংশ, ভারত ১১৭ শতাংশ, ব্রাজিল ৯৭ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়া ৯০ শতাংশ। অন্যদের অবস্থান আরও নিচে।

তিনি বলেন, ঠিক একইভাবে বাংলাদেশকে নিয়ে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক অতি সম্প্রতি একটি স্টেটমেন্ট (বিবৃতি) দিয়েছে। তাদের বিবৃতি অনুযায়ী, বর্তমান এবং আগামী অর্থবছরে আমাদের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে শতকরা ৮ ভাগ। এটা হবে এশিয়া মহাদেশের সব দেশের ওপরে।

অর্থমন্ত্রী জানান, অতি সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের একটি তথ্যের ওপর যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পক্ষে দেখানো হয়েছে, বাংলাদেশ ৪১তম অর্থনীতির দেশ থেকে ২০২৩ সালে ৩৬তম, ২০২৮ সালে ২৭তম, ২০৩৩ সালে ২৪তম অর্থনীতির দেশে উন্নীত হবে। সেই সময় আমাদের জিডিপির আকার হবে ১ ট্রিলিয়ন ডলার।

তিনি জানান, সম্প্রতি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের বৈশ্বিক প্রধান অর্থনীতিবিদ ডেভিড ম্যান তার একটি গবেষণাপত্রে আইএমএফ’র তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে দেখেন যে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় হবে ভারতের চেয়ে বেশি। ওই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০৩০ সালে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু জিডিপি দাঁড়াবে ৫ হাজার ৭শ’ মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে ভারতের মাথাপিছু জিডিপির পরিমাণ হবে ৫ হাজার ৪শ’ মার্কিন ডলার।

আ.হ.ম. মুস্তফা কামাল বলেন, বিশ্বব্যাংক, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ পৃথিবীর অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিষয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছে।

তিনি বলেন, আজ সকল অর্জন সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞা ও গতিশীল নেতৃত্বে। পাশাপাশি দেশে একটি স্থিতিশীল সরকার বিরাজ করায়, সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ দেশকে ভালোবাসায়, দেশের জন্য কাজ করায় এটা সম্ভব হয়েছে।