বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে টিসিবিকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ

টিসিবিবাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করতে এই সুপারিশ করা হয়েছে। রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর)  জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি এই সুপারিশ করে।

বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে টিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, গত আট অর্থবছরে টিসিবিকে ৩৯৩ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫৬ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণের সুদ। টিসিবির চলতি মূলধনের সংকট থাকায় ৯ শতাংশ সুদে লোন অ্যাগেইনেস্ট ট্রাস্ট রিসিপ্টের (এলটিআর) গ্রহণ করে মালামাল কেনা হয়। বাফার স্টক সংরক্ষণের কারণে দীর্ঘদিন পণ্য গুদামজাত করে রাখতে হয়। এজন্য ব্যাংককে উচ্চহারে সুদ দিতে হয়। ফলে পণ্যের ক্রয়মূল্য বাড়ার পাশাপাশি ভর্তুকির পরিমাণও বেড়ে যায়।

টিসিবি বৈঠককে জানিয়েছে, ২০১০-২০১১ অর্থবছরে ৬৯ কোটি টাকা, ২০১১-২০১২ অর্থবছরে ৭৭ কোটি টাকা, ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে ৫৮ কোটি টাকা, ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরে ৬৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ৬৯ কোটি টাকা, ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে ৩৪ কোটি টাকা, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা এবং ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে ১১ কোটি ১৫ লাখ টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয় টিসিবিকে।

টিসিবি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারমূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় রাখতে সরকারের নির্দেশে পণ্য আমদানি বা স্থানীয়ভাবে কিনে কম মূল্যে বিক্রি করে।

সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে রেজিস্টার্ড জয়েন্ট স্টক কোম্পানিকে কোম্পানি ট্রেড অর্গানাইজেশন, পার্টনারশিপ ফার্মের নিবন্ধন ও ছাড়পত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে বাস্তবতার নিরিখে কাজ করার সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি।

কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমদের সভাপতিত্বে কমিটি সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, মোহাম্মদ হাছান ইমাম খান  ও সুলতানা নাদিরা বৈঠকে অংশ নেন।