তথ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের সহযোগিতা ছাড়া এত দ্রুত মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করা বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব ছিল না। রাজনৈতিক সীমানায় বিভক্ত হলেও বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সংগীতের রচয়িতা এক, একই জলবায়ুতে, একই নদীর অববাহিকায় দুই দেশের মানুষের জন্ম ও বেড়ে ওঠা। দুই দেশের মানুষের বন্ধুত্বও তাই সীমানা ছাড়িয়ে।
তিনদিনব্যাপী এ উৎসবে ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু’, ‘স্বাধীনতা কী করে আমাদের হলো’, ‘বিশ্ব আঙিনায় অমর একুশ’, ‘জাগে প্রাণ পতাকায়’, ‘জাতীয় সংগীতে’, ‘পুত্র’, ‘খাঁচা’, ‘ভুবন মাঝি’, ‘গেরিলা’সহ মুক্তিযুদ্ধ ও সমকালীন জীবনভিত্তিক ২০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার কীরিটি চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ত্রিপুরা রাজ্যের কৃষি, পর্যটন ও পরিবহন মন্ত্রী প্রণজিত সিংহ রায়, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিম, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদানের জন্য স্বীকৃতিপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক স্বপন ভট্টাচার্য বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী ত্রিপুরার মন্ত্রীকে নৌকা স্মারক এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ১৩ জন ভারতীয় নাগরিককে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইসতাক হোসেন, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, চিত্রতারকা রোকেয়া প্রাচী, চঞ্চল চৌধুরী, অপর্ণা ঘোষ প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।