বিষয়টি সম্পর্কে ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন গত ১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সংস্থার ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সারা বছরজুড়ে যেন মশকনিধন বিষয়ে গবেষণা, মশার প্রকৃতি ও ধরন সম্পর্কে অবহিত হয়ে সে অনুযায়ী ওষুধ নির্বাচনসহ নানাবিধ কাজ সম্পাদন করা যায় সেজন্য একটি পৃথক বিভাগ খোলা হবে।’
বিভাগটি চালু করার জন্য প্রাথমিক অভিজ্ঞতা অর্জন ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ৮ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে সিঙ্গাপুর গেছেন ডিএসসিসি মেয়র। সেদেশের সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে তার সঙ্গে আরও গিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এবং প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফ আহমেদ। এরই মধ্যে তারা সিঙ্গাপুরের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে একাধিক বৈঠক ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন।
সিঙ্গাপুর সফর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মেয়র সাঈদ খোকন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সিঙ্গাপুর থেকেই ডেঙ্গু কম্প্রিহেন্সিভ ম্যানেজমেন্ট, সার্ভিলেন্স, ডেঙ্গু কন্ট্রোল, রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট, কেস ম্যানেজমেন্ট, ডেঙ্গু আউটব্রেকসহ সার্বিক বিষয়ে আমরা অভিজ্ঞতা নিয়েছি। এখান (সিঙ্গাপুর) থেকে বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সার্বক্ষণিক অবহিত করেছি। সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং এ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ হেলথ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে এ বিষয়ে আমাদের বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা হয়েছে। তাদের যেসব ম্যানেজমেন্ট ও সরঞ্জাম রয়েছে সেগুলো দেখেছি। তারা কীভাবে কাজ করছে তার একটা বিস্তর ধারণা পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গৃহীত পাঁচ বছর মেয়াদি “কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ ডিপার্টমেন্ট”-এর মাধ্যমে ডেঙ্গুসহ অন্যান্য সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণের সার্বিক কার্যক্রম বাস্তবায়নে সিঙ্গাপুর পার্টনার হিসেবে আমাদের সঙ্গে কাজ করবে। এতে পর্যাপ্ত জনবল কাঠামো থাকবে।’
উন্নত বিশ্বের আদলে এসব রোগ নিয়ে গবেষণা হবে বলেও জানান সাঈদ খোকন।