এ সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত রাষ্ট্রপতিকে বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল। জাপান দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে আগ্রহী।’
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন সাংবাদিকদের ব্রিফকালে একথা বলেন।
বাংলাদেশে অবস্থানকালে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা করায় ইজুমি রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
বাংলাদেশে মেয়াদকালে সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব সম্পন্ন করায় রাষ্ট্রপতি জাপানি দূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাপান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় এবং তারপর থেকেই দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্ব বজায় রেখে চলেছে।’
তিনি বলেন, ‘১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একমাত্র ঐতিহাসিক জাপান সফরের অল্প পরেই দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে।’
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে জাপানের বিরাট অবদান রয়েছে এবং এরপরই জাপান বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদারে পরিণত হয়।’
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাপানের বিনিয়োগ এদেশের আর্থসামাজিক খাতের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করেছে।’ ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবের মধ্যকার উচ্চপর্যায়ের সফর বিনিময় প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘এটি দু’দেশের সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সহায়ক হয়েছে।’
বঙ্গভবন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বাসস