শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর খামারবাড়ি পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্যাসিনো ব্যবসার সঙ্গে জিসানের কোনও লিংক রয়েছে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ক্যাসিনো ব্যবসা, না টেন্ডার ব্যবসা তা আমাদের জানার বিষয় না। আমাদের কাছে মুখ্য হলো সে অপরাধ করেছে কিনা। সে অপরাধের সঙ্গে জড়িত কিনা। এই জিসানকে বহু আগে আমরা গ্রেফতারের জন্য ইন্টারপোলের সহযোগিতা চেয়েছি। সন্ত্রাসীদের তালিকায় তার নাম রয়েছে। আমরা তাকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনতে প্রচেষ্টা হাতে নিয়েছি। এই প্রক্রিয়া শেষ করবো।’
অপরাধ করে দেশ থেকে অনেক অপরাধী পালিয়ে যায় এবং পালিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আসামিরাও পালিয়ে গিয়েছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেডের হামলার অনেক আসামি পালিয়েছে। আমরা তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। যেখানে যে প্রক্রিয়া দরকার, আমরা তা হাতে নিচ্ছি। সরকারিভাবে এবং অন্যান্য চ্যানেলে চেষ্টা করছি। নানাভাবে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করি সবাইকে ফেরত নিয়ে আসবো। দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’
প্রসঙ্গত, দেশের তালিকাভুক্ত পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান আহমেদকে বুধবার রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিসান একটি ভারতীয় পাসপোর্ট বহন করছে। সেখানে তার নাম বলা হয়েছে আলী আকবর চৌধুরী।