ফেনী নদীর পানি বণ্টন চুক্তি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী

‘কেউ যদি পানি পান করতে চায় আমরা না দেই, সেটা কেমন দেখা যায়?’

গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ছবি: ফোকাস বাংলা)
ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সঙ্গে ফেনী নদীর পানি বণ্টন চুক্তি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যে চুক্তিটা হয়েছে সেটা তাদের খাবার পানির জন্য। তারা যখন আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে পানি তোলে, সেটার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়ে। তাই নদী থেকে সামান্য পানি দিচ্ছি। কেউ যদি পানি পান করতে চায়, আর আমরা না দেই, সেটা কেমন দেখা যায়?’

আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ৩টায় গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।

এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বলেন তো ফেনী নদীর উৎপত্তিস্থল কোথায়? এটা খাগড়াছড়িতে। এটা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী একটা নদী। এর ৯৪ কিলোমিটার সীমান্তে, ৪০ কিলোমিটার বাংলাদেশের ভেতরে। সীমান্তবর্তী নদীতে দুই দেশেরই অধিকার থাকে। যে চুক্তিটা হয়েছে, সেটা ত্রিপুরাবাসীর খাবার পানির জন্য। তারা যখন আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে পানি তোলে, সেটার প্রভাব আমাদের দেশেও পড়ে। তাই নদী থেকে সামান্য পানি দিচ্ছি। সব জায়গায় আমরা নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করেছি। যেটুকু পানি নিয়েছে, ততটুকু আমাদের অংশে পড়েছে বলেই চুক্তি করেছি।’

তিস্তা, ধরলা, দুধকুমারসহ উজান থেকে আসা নদীগুলোর পানি বণ্টনের বিষয়ে আলোচনা চলছে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিএনপিসহ অন্যদের সমালোচনার বিষয়ে বলেন, ‘বিএনপি নেতাদের কাছে আমার প্রশ্ন, জিয়াউর রহমান ও পরে খালেদা জিয়া যখন ভারতে যায় তারা কি গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি করতে পেরেছিল? তারা কী জবাব দিয়েছিল? আমরা ক্ষমতায় আসার পর গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি করার পর শুনতে হয়েছে ২৫ বছরের চুক্তি, দেশ বেচার চুক্তি। এবার হিসাব করে দেখেন কতটা গেছে আর কতটা পেয়েছি।’

আরও পড়ুন...

কে ছাত্রলীগ বা কী জানি না, অপরাধী অপরাধীই, বিচার হবে: প্রধানমন্ত্রী