মহিবুল হাসান বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাস, নির্যাতন, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য দমন করার জন্য সবখানে অভিযান চলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যেই অপরাধী হোক না কেন তাকে গ্রেফতার করে বিচারের সম্মুখীন করা হবে। যেহেতু সব প্রতিষ্ঠানে অভিযান চলবে, তাই যারা গোপনে গোপনে চিন্তা করছেন দীর্ঘদিন পালিয়ে থেকে আজকে আবরার হত্যাকে পুঁজি করে মাঠে নামবেন, তারা সাবধান হয়ে যান।
শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে শিক্ষাঙ্গনে হত্যাকাণ্ডের জন্য কখনও এতো দ্রুততার সঙ্গে এতো কঠিন ব্যবস্থা কেউ এর আগে নেয়নি। সেটা এবার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজে নির্দেশনা দিয়েছেন কেউ যেন পার পেয়ে না যায়। সবাইকে যাতে জেরা করে মূল ঘটনা বের করে আনা যায়, সেটার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। শিক্ষাঙ্গনে আমরা দেখেছি শুধু ছাত্রলীগ নয়, বাংলাদেশের সব প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের কীভাবে অপরাজনৈতিক শক্তি হত্যা করেছে। সেগুলোর কতটুকু তদন্ত হয়েছে, কতটুকু বিচার হয়েছে আর আজকে কীভাবে ব্যবস্থা হচ্ছে সেটা আমরা দেখতে পাচ্ছি।
বিচারের জন্য আজকে কোনও মা’কে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয় না এমন দাবি করে মহিবুল হাসান বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, আজকে সব আলামত রক্ষা পেয়েছে। সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র হয়েছিল আলামত বিনষ্ট করার। সেই ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক রূপ দিয়ে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধন করার। আমি সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানাবো, আমাদের হারানো সন্তানকে পুঁজি করে নোংরা রাজনীতি, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করবেন না। ভারত ইস্যুতে সস্তা রাজনীতি করার জন্য আমাদের সন্তানকে হারাইনি। একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, আমরা সবাই মর্মাহত। এর সুবিচার নিশ্চিত অবশ্যই করবো। যারা পল্টনে বসে এই হত্যাকাণ্ডকে পুঁজি করে ক্ষমতায় যাওয়ার দুঃস্বপ্ন দেখছেন, তারা সাবধান হয়ে যান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রমুখ।