‘ছাত্রদের দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে, এখন উচিত পড়াশোনায় মন দেওয়া’

ওবায়দুল কাদেরসড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আবরার হত্যার পর বুয়েট শিক্ষার্থীদের যেসব দাবি-দাওয়া ছিল, তা মেনে নেওয়া হয়েছে। তারপরও আন্দোলন কেন? আমি ছাত্রদের বলেছি, দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে, এখন পড়াশোনায় মনোনিবেশ করা উচিত।’
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়ের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বুয়েটে আবরার হত্যার পর প্রশ্ন উঠেছে ছাত্র রাজনীতি নিয়ে। ছাত্র রাজনীতি হচ্ছে মূল রাজনীতির রক্তবাহিত শিরা। ছাত্র রাজনীতি কেন বন্ধ করবো? বুয়েট চাইলে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে পারে, সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগেও বলেছেন।’
সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আবরার হত্যাকাণ্ড ঘটনার পর সরকার তড়িৎ গতিতে যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা একটি ইতিহাস। প্রধানমন্ত্রী আইজিপিকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে বলেছেন, আবরারের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন, এছাড়া আইনমন্ত্রীকে আবরার হত্যার দ্রুত বিচার সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত অভিমত, এই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত, তাদের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। কিন্তু এই ঘটনায় দেশের কয়েকটি মেধাবী সন্তানও হারিয়ে যাচ্ছে, সেটিও একটি বিষয়। ভ্যান চালায় এমন বাবার সন্তানও এই কাণ্ডে জড়িত।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘এই ঘটনায় সরকার বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে। এজন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তো সবাই দায়ী না। গুটিকয়েকের দায়ভার সরকার নেবে না। এ ঘটনায় দল এবং সরকার উভয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। বিবেকের দায়ে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আমরা তড়িৎ উদ্যোগ নিয়েছি এবং জড়িতদের গ্রেফতার করছি।’
আবরারের হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএনপি আন্দোলনের ইস্যু খুঁজছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির কাছে আবরার হত্যাকাণ্ড কোনও বিষয় না। তারা মূলত আন্দোলন করতে চায়, তাই তারা ইস্যু খুঁজছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে এটি নিয়ে রাজনীতি করা।’
বিরোধী দলের সঙ্গে সরকার হার্ড লাইনে যাচ্ছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিরোধী দলের সঙ্গে হার্ড লাইনে গেলে গণতন্ত্র এগোয় না। আমরা হার্ড লাইনে বিশ্বাস করি না। এখন পর্যন্ত বিএনপির সঙ্গে সংঘাত ঘটার মতো কোনও পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি। আর এরকম পরিস্থিতির উদ্ভব হোক, তাও আমরা চাই না। বাকিটা পরে দেখা যাবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উনারা যতোটা না উদ্বিগ্ন, তার চেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন আন্দোলনের একটা ইস্যু তৈরি করার।’