প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কুড়িগ্রামকে আমি মজা করে বলতাম কুইড়্যা গ্রাম। এখন আর কুইড়্যা গ্রাম নেই। অনেক উন্নত হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গে অর্থনৈতিক উন্নতিটাও প্রয়োজন। আর যেন উত্তরবঙ্গবাসীকে মঙ্গা শব্দটা শুনতে না হয়, সে ব্যবস্থা আমরা করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য শেষ করে কুড়িগ্রামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘ও কি গাড়িয়াল ভাই’ ভাওয়াইয়া গান পরিবেশন করা হয়। গান শোনার পর প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই গানের প্রচারেও সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রেলের উন্নয়নের ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। এতে এলাকারও উন্নয়ন হবে। কুড়িগ্রামের যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। আগামীতে আরও হবে। ও কি গাড়িয়াল ভাই গানের রেশ ধরেই আমি বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে।’
কুড়িগ্রাম রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনটি সপ্তাহে ছয় দিন সকাল ৭টা ২০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে। আর ঢাকা থেকে কুড়িগ্রামের উদ্দেশে ছাড়বে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে। বুধবার বন্ধ থাকবে। প্রস্তাবিত এ ট্রেনটির বিরতি থাকছে উভয় পথে রংপুর, বদরগঞ্জ, পার্বতীপুর, জয়পুরহাট, সান্তাহার, মাধনগর ও ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশন।
কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকা যাত্রাকালীন এতে মোট ৬২৬টি আসন সুবিধা থাকছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৪৪টি আসন (শোভন চেয়ার ১১০টি, এসি চেয়ার ২৫টি ও এসি সিট (কেবিন) ৯টি)। ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে—শোভন চেয়ার ৫১০ টাকা, এসি চেয়ার ৯৭২ টাকা, এসি সিট (কেবিন) ১১৬৮ টাকা এবং এসি বাথসহ ১৭৫০ টাকা।