চিত্রশিল্পী কালিদাস কর্মকার আর নেই

 

কালিদাস কর্মকারচারুকলায় একুশে পদকপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী কালিদাস কর্মকার আর নেই। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

গ্যালারি কসমসের নির্বাহী শিল্প ব্যবস্থাপক সৌরভ চৌধুরী জানান, দুপুর দেড়টার দিকে শিল্পীকে ইস্কাটনের বাসার গোসলখানায় অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শিল্পী সৌরভ চৌধুরী আরও জানান, শিল্পীর আমেরিকা প্রবাসী দুই মেয়ে, বাবার মৃত্যুর সংবাদ শুনে ইতোমধ্যেই দেশের উদ্দেশ রওয়ানা হয়েছেন। তারা দেশে আসার পর কালিদাস কর্মকারের শেষকৃত্যের বিষয়ে পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া প্রয়াতের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তার মরদেহ রবিবার সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে ও সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। মরদেহ বারডেমের হিমঘরে রাখা হয়েছে।

তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই চিত্রশিল্পী তার চিত্রকর্মে আবহমান বাংলার স্বরূপ প্রকাশের পাশাপাশি নিরীক্ষাধর্মী শিল্পকর্মের জন্য শিল্পীমহলে বিশেষভাবে সমাদৃত হয়েছেন। তার কর্ম নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা যুগিয়ে যাবে।’

প্রধানমন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শিল্পকলায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৮ সালে একুশে পদক, শিল্পকলা পদকসহ অসংখ্য স্বীকৃতি পেয়েছেন এই চিত্রশিল্পী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি দুই মেয়ে, আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

১৯৪৬ সালে ফরিদপুরে কালিদাস কর্মকারের জন্ম হয়। শৈশবেই তিনি আঁকতে শুরু করেন। স্কুল জীবন শেষে ঢাকা ইনস্টিটিউট অব আর্টস থেকে তিনি ১৯৬৩-৬৪ সালে চিত্রকলায় আনুষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করেন। পরে কলকাতার গভর্নমেন্ট কলেজ অব ফাইন আর্টস অ্যান্ড ক্রাফট থেকে ১৯৬৯ সালে প্রথম বিভাগে প্রথম স্থান নিয়ে চারুকলায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। সূত্র: বাসস।