মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্রে সঠিক বয়স লিপিবদ্ধ করা এবং ভোটার তালিকা থেকে মৃত ব্যক্তিদের বাদ দেওয়া একটা সমস্যা। এই সমস্যা থেকে উত্তরণে শিশুর জন্মের পর এবং কেউ মারা গেলে সে তথ্য থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে মৌখিক বিবৃতি আকারে জানানোর বিষয়ে ভাবতে হবে।’
সিইসি বলেন, ‘মৃত ভোটার একটা সমস্যা। ব্রিটিশ আমলে একটা নিয়ম ছিল। কেউ মারা গেলে থানায় জানাতে হতো। কোনও বাড়িতে কোনও বাচ্চা জন্ম নিলে বা মারা গেলেও তারা থানায় তথ্য দিতো। চৌকিদার গিয়ে বলতো যে, ওই বাড়িতে অমুকের একটা সন্তান জন্ম নিয়েছে। কিংবা ওই গ্রামের ওই বাড়ি অমুক মারা গেছেন। থানায় এখন সেটা বলা সম্ভব কিনা। তবে চৌকিদার থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে এ তথ্য দিতে পারে কিনা, ভাবা দরকার।’
জাতীয় পরিচয়পত্রের নানা জটিলতার কথা তুলে ধরে সিইসি আরও বলেন, ‘দেখা গেছে ৪২ বছর বয়সের লোক ২৪ বছর আর ২৪ বছর বয়সের লোক ৪২ বছর বয়সী হতে চায়। অনেকে বিএ পাস করার পরও বলে পাসই করিনি। নানা কারণে এটা করে থাকে। এতে দেখা যায়, বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের বয়সের পার্থক্য ৪-৫ বছর হয়ে যায়।’
প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, প্রাইমারি পরীক্ষার সনদ দিলেও বয়স ঠিক করা সম্ভব। একেবারে সঠিক বয়স দিয়ে, মা-বাবার নাম দিয়ে, ঠিকানা দিয়ে ভোটার তালিকা করার এখনও সময় বোধ হয় আসেনি। আপনারা তবু চেষ্টা করছেন। বয়স ঠিক মতো নেওয়া একটি জটিল সমস্যা। এ সমস্যা আপনাদের মোকাবিলা করতে পথ বের করতে হবে।’
কর্মশালায় নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, বেগম কবিতা খানম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।