২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর স্বাক্ষরিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন অ্যারেঞ্জমেন্ট এবং জানুয়ারিতে ধার্য হওয়া ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্টকে ভিত্তি ধরে প্রত্যাবাসনের জন্য সবচেয়ে জরুরি বিষয়গুলো চিহ্নিত করে এই কমিটি স্ব স্ব সরকারের কাছে সুপারিশ করবে।
এ বিষয়ে একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এই কমিটি গঠনের আগে এর সদস্যদের নিয়ে একটি অনানুষ্ঠানিক বৈঠক হয়েছে এবং আমরা আশা করছি, এই সপ্তাহের মধ্যে যদি না হয় তবে আগামী সপ্তাহে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক হবে।’
গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, প্রত্যাবাসনের আগে রাখাইনে পরিস্থিতি উন্নত করতে হবে এবং এ বিষয়ে বেইজিং একমত বলে তিনি জানান।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, প্রত্যাবাসনের জন্য রাখাইনে পরিস্থিতি উন্নয়নে কী করা যায় সেটি চিহ্নিত করা এবং রোহিঙ্গারা যেন নিরাপদে জীবিকা নির্বাহ করতে পারে সেটির সমাধান খুঁজে বের করা।’
এ বিষয়ে চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুনশি ফায়েজ আহমেদ বলেন, ‘এখানে আস্থার সংকট আছে এবং এটিকে প্রথমে দূর করতে হবে।’
তিনি বলেন, চীনের নেতৃত্বে ভারত, রাশিয়া, জাপান, আসিয়ান, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নসহ সবাইকে নিয়ে এই সমস্যা সমাধানে বড় একটি জোট গঠন করা যেতে পারে।
মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক ডিফেন্স অ্যাটাশে শহীদুল হক বলেন, ‘তিন মন্ত্রীর বৈঠকে আলোচনা হয়েছিল রোহিঙ্গাদের একটি দল রাখাইন সফর করে সেখানকার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে, কিন্তু এ প্রস্তাবে রাজি হয়নি মিয়ানমার।’
যদি মিয়ানমার এই সমস্যা সমাধানে আন্তরিক না হয়, তবে এই কমিটি খুব বেশি কাজ করতে পারবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন সাবেক ওই কর্মকর্তা।