জুলাই থেকেই সরকারি বেতন-ভাতা পাবেন নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা




image-130358-1546785117নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কমর্চারীরা এ বছরের জুলাই থেকেই সরকারি বেতন-ভাতাদি পাবেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেবেন। অর্থমন্ত্রণালয় যেহেতু বরাদ্দ দিয়েছে, তাই এ বছরের জুলাই থেকেই শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন-ভাতা পাবেন।’

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন এমপিও পেতে যাওয়া প্রতিষ্ঠান রয়েছে এক হাজার ৬৫১টি। এছাড়া কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীন এক হাজার ৭৯টি মাদ্রাসা, কারিগরি, বিএম এবং কৃষি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ নিয়ে মোট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে দুই হাজার ৭৩০টি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রতিষ্ঠানগুলোর নতুন এমপিওভুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন। এরপর শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করবে।

মতবিনিময় সভায় আন্দোলরত শিক্ষকদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর যারা এমপিভুক্ত হতে পারবেন না, তারা যাতে আগামী বছর এমপিওভুক্ত হতে পারেন, সে জন্য আপনাদের এমপিওভুক্তির যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শিক্ষকদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরও বলেন, আন্দোলন-কর্মসূচি প্রত্যাহার করে আমাদের এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হোন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে গিয়ে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করুন। এই আন্দোলনের ফলে আপনার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পিছিয়ে পড়ছে। তাতে আপনারাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। প্রতিষ্ঠান হিসেবে যোগ্যতায় পিছিয়ে পড়ছে আপনার প্রতিষ্ঠান। আমরা নীতিমালা সংশোধন করবো। কিন্তু চলমান এই প্রক্রিয়া বাদ দিয়ে সবাইকে একসঙ্গে এমপিওভুক্ত করা সম্ভব নয়। তবে প্রতি বছরই কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করবো।

এদিকে স্বীকৃতিপ্রাপ্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একযোগে এমপিওভুক্তির দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খোলা আকাশের নিচে তারা এ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন। গত ২১ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সর্বশেষ এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল।