তিন বছরে জ্বালানি বিভাগের ৪৫৩ কর্মকর্তার বিদেশ সফর

সংসদীয় কমিটির বৈঠকগত তিন বছরে জ্বালানি বিভাগের ৪৫৩ জন কর্মকর্তা বিদেশ সফর করেছেন। মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১০টি সংস্থা ও কোম্পানির এসব কর্মকর্তা ১০১টি ট্যুরে এ বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। রবিবার (২৭ অক্টোবর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কর্তকর্তাদের বিদেশ সফরের এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৈঠকের কার্যপত্র থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিন বছরে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) ৭০ জন, পেট্রোবাংলার ৩৯ জন, বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতরের (জিএসবি) ৮ জন, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিডিসিএল) ২০ জন, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) ২৮ জন, জালালাবাদ গ্যাস টি অ্যান্ড ডি সিস্টেম লিমিটেডের (জেজিটিডেএসএল) ৫ জন, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) ৯৩ জন, গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) ১১০ জন, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) ৩৮ জন এবং সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) ৪২ জন।

বিদেশ সফরের কারণ হিসেবে জ্বালানি বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে- উন্নত নতুন প্রযুক্তি ও কোনও বিষয়ের পরীক্ষিত ধারণা/প্রয়োগ দেশের তেল, গ্যাস ও কয়লা খাতে বাস্তবায়ন করা হয়। ফলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিদেশে প্রশিক্ষণ/সেমিনার/কর্মশালায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সে সকল বিষয়ে জ্ঞান ও ব্যবহারিক প্রয়োগ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের জন্য প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত রাখা হয়। এসব সফর যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে হয় বলেও জানানো হয়।

বৈঠকে অপ্রয়োজনীয় বিদেশ সফর নিরুৎসাহিত করার এবং বিদেশ সফরে যাতে সরকারের অর্থের অপচয় না হয় সে বিষয়ে  মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয় বলে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বৈঠকে বিদেশ সফরের পর একটি প্রতিবেদন নিজ নিজ সংস্থার কাছে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।

এদিকে বৈঠকে মিয়ানমার থেকে গ্যাস আমদানির বিষয়টির সম্ভাব্যতা যাচাই করতে মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও বৈঠকে দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস উৎপাদনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে দেশের জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন তিনটি প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধিকে প্রকল্প বাস্তবায়নের নেতিবাচক দিক হিসেবে আখ্যায়িত করে সরকারি অর্থের সাশ্রয় এবং অতিরিক্ত ব্যয় রোধে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং শুধু আন্তরিকতা নয় দক্ষতার সঙ্গে প্রকল্পের ডিপিপি প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়।

কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সদস্য মো. আবু জাহির,  মো. আছলাম হোসেন সওদাগর, মোছা. খালেদা খানম, বেগম নার্গিস রহমান বৈঠকে অংশ নেন।