গণশুনানিতে এমিরেটসের বিরুদ্ধে যাত্রীদের অভিযোগ

এমিরেটসহযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের সেবার মান নিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)-এর কাছে অভিযোগ তুলে ধরেন যাত্রীরা। তারা বলেন, এমিরেটস এয়ালাইন্সের কাউন্টার থেকে পাওয়া ভুল তথ্য দেওয়া যাত্রী হয়রানির ঘটনা ঘটছে। এ সময় এমিরেটস কর্তৃপক্ষকে সমস্যা সমাধান করতে পরামর্শ দেন বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান।

গণশুনানিতে উপস্থিত ছিলেন সৌদি আরবে গেস্ট হাউজে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত মো. আরিফ। তিনি বলেন, ‘দুই বছর সৌদি আরবে কাজ করার পর দুই মাসের ছুটিতে বাংলাদেশে এসেছি। কিন্তু সৌদি আরবের মালিক জরুরি প্রয়োজনে একদিনের নোটিশে আমাকে ডেকে পাঠান। সোমবার সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে এমিরেটসের ‘ইকে ৫৮৩ ফ্লাইটে’ সৌদি আমার  সৌদি আরব যাওয়ার কথা ছিল।’

মো. আরিফ আরও বলেন, ‘বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর এমিরেটস এয়ারলাইন্সের কাউন্টারে গিয়ে আমার রিটার্ন টিকিট থাকার কথা জানাই। জবাবে কাউন্টার থেকে জানায়, বোর্ডিং পাস লাগবে না। সরসরি সে ইমিগ্রেশনে চলে যেতে পারবেন। কিন্তু ইমিগ্রেশন জানায়, বোর্ডিং পাস ছাড়া ইমিগ্রেশন হবে না। কিছুক্ষণ পর এসে দেখি আরিফ কাউন্টার বন্ধ। ততক্ষণে ফ্লাইটটিও ঢাকা ছেড়ে যায়।’

সৌদি আরবপ্রবাসী এই যাত্রীর অভিযোগ, ‘এমিরেটসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনা খুলে বললে তারা আরও ৮ হাজার টাকা নেয়। এরপর বেলা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এমিরেটসের আরেকটি বিমানে সৌদি আরব যাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভুল তথ্য দিলো একজন, আর জরিমানা দিতে হলো আমাকে। যারা বিভিন্ন কাউন্টারে যাত্রীদের তথ্য দেওয়ার দায়িত্বে থাকেন, তারা সতর্ক হলে এমনটা হতো না।’

একই অভিযোগ সৌদি আরবে গৃহপরিচারিকার কাজ করা মুনিয়া আক্তারেরও। তিনি বলেন, ‘বিমানবন্দর থেকে অভিযোগ শোনার পর গুলশানে এমিরেটস এয়ারওয়েজের অফিসে ১২ হাজার টাকা নিয়ে যেতে বলেছিল। আমার কাছে টাকা ছিল না। বিষয়টি সৌদি আরবে আমার মালিককে জানালে তিনি আবারও টিকিট কেটে দেন। আমরা বিদেশে কাজ করি জেনেও দেশে আমাদের কেউ সাহায্য করলো না।’

গণশুনানিতে যাত্রীদের অভিযোগ শুনে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান এমিরেটস কর্তৃপক্ষকে তাদের সমস্যা সমাধান করতে বলেন। এমিরেটস এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধিও সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার অঙ্গীকার করেন।