ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় উপকূলীয় জেলাগুলোতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। উপকূলীয় বিভিন্ন জেলার স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে মিলিতভাবে উদ্ধার-ত্রাণ তৎপরতা ও চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কাজ করবে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।
শনিবার (৯ নভেম্বর) আইএসপিআর জানায়, সেনা সদস্যরা ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে প্রয়োজনীয় উদ্ধার সামগ্রী নিয়ে প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া সেনাবাহিনী দুর্যোগ পরবর্তী সহায়তার জন্য ওষুধসামগ্রী, খাবার পানি, শুকনো খাবার জরুরি প্রয়োজনে বিতরণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এ বিষয়ে যোগাযোগের জন্য ২৪ ঘন্টা মনিটরিং সেল চালু রয়েছে।
এছাড়া সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ব্রিগেড ও ডিভিশন সমূহ যেকোনও জরুরি সহায়তার জন্য বেসরকারি প্রশাসনের সঙ্গে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রেখে চলছে।
আরও জানানো হয়, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের অনুরোধে সেনাবাহিনীর ১২০ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দল ও যানবাহন নিয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগড়ে কাজ করবে। তারা প্রাথমিকভাবে স্থানীয় জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরে সহায়তা করবে।
এছাড়া নৌবাহিনীর ৫টি জাহাজ (বিএনএস কর্ণফুলী, তিস্তা, পদ্মা ও এলসিভিপি ০১১, ০১৩) দুর্যোগ পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ৪টি কন্টিনজেন্ট ও অনেকগুলো চিকিৎসা সহায়তাকারী দল প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া নৌবাহিনী তিন স্তর বিশিষ্ট উদ্ধার তৎপরতা পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।
আইএসপিআর জানায়, গত ৭ নভেম্বর থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর পরিস্থিতি মনিটরিংয়ে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের তত্ত্বাবধানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‘প্রধানমন্ত্রীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সমন্বয় ও ত্রাণ তৎপরতা মনিটরিং সে ‘ সার্বক্ষণিক সচল রয়েছে।