ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় থেকে প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। দুর্বল অবস্থায় ঝড়টি বাংলাদেশের খুলনা উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। ভোরের দিকে ঝড়টি খুলনা অঞ্চলে প্রবেশ করতে পারে। ক্রমশ দুর্বল হয়ে আসলেও ঝড়ের কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় পাঁচ থেকে সাত ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়ে গেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
শনিবার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ উপকূলের উত্তর পূর্বদিকে অগ্রসর হচ্ছে। গতি কমলেও ল্যান্ডফলের সময় স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় পাঁচ থেকে সাত ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা এখনও রয়ে গেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসহ ৯ উপকূলীয় জেলায় ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখানো হচ্ছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সতর্কতা জারি থাকবে। ১০ নম্বর সতর্কতার আওতায় থাকা জেলাগুলো হচ্ছে- ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ।
৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে- উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চর সমূহ। এছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
যে কারণে এবারও ৯১ সালের মতো ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কা
সুন্দরবন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে ‘বুলবুল’
‘বুলবুল’ মোকাবিলায় সরকার ও দল সর্বোচ্চ প্রস্তুত: ওবায়দুল কাদের
আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন উপকূলবাসী
‘বুলবুল’ মোকাবিলায় সাতক্ষীরায় সেনা মোতায়েন
স্বাস্থ্য বিভাগের ছুটি বাতিল, দুর্যোগ মোকাবিলায় ৮ নির্দেশনা
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় প্রস্তুত সরকার: নৌ প্রতিমন্ত্রী
দুর্গতদের যেকোনও প্রয়োজনে ৯৯৯-এ কল করার অনুরোধ