সকাল ৭টায় আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বেশকিছু ঘরবাড়ি ভেঙেছে। ঝড়ের তাণ্ডবে এসব এলাকায় উপড়ে পড়েছে গাছপালা।
খুলনার কয়রা উপজেলা পরিষদের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাফর রানা বলেন, ‘মূল ঝড়ের আঘাত ভোররাত সাড়ে চারটা থেকে শুরু হয়েছে, সেটি এখনও চলমান। এতে কয়রা উপজেলার অনেক ঘরবাড়ি ভেঙেছে, গাছপালা উপড়ে পড়েছে। এছাড়া জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে দুই ফুট বেশি রয়েছে।’
দাকোপ উপজেলা পরিষদের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আব্দুল কাদের বলেন, ‘দাকোপে রাত ১টার দিকে বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া শুরু হয়। ভোরের দিকে এর পরিমাণ বেড়ে যায়। এখনও তা চলমান আছে। এতে দাকোপ উপজেলা পরিষদের তেঁতুল গাছটি পড়ে গেছে। উপজেলা জুড়ে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।’
এছাড়া বাগেরহাটে মধ্যরাত থেকে ভারী বর্ষণের সঙ্গে দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। অতি বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও বলেন, ‘ঝড়ের কারণে কয়রায় সর্বোচ্চ ৯৩ কিলোমিটার দমকা বাতাসের গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া খুলনা, বরিশাল, বরগুনা, পাথরঘাটা এলাকায় দমকা বাতাস ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন...
ঝড়ের রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে জন্ম নিলো ‘বুলবুলি’
‘বুলবুল’ মোকাবিলায় সরকার ও দল সর্বোচ্চ প্রস্তুত: ওবায়দুল কাদের
আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন উপকূলবাসী
‘বুলবুল’ মোকাবিলায় সাতক্ষীরায় সেনা মোতায়েন
স্বাস্থ্য বিভাগের ছুটি বাতিল, দুর্যোগ মোকাবিলায় ৮ নির্দেশনা
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় প্রস্তুত সরকার: নৌ প্রতিমন্ত্রী
দুর্গতদের যেকোনও প্রয়োজনে ৯৯৯-এ কল করার অনুরোধ
উপকূলে ৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা
১৩ জেলার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল