রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ওআইসির ভূমিকা হতাশাজনক: তথ্যমন্ত্রী

বক্তব্য রাখছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদতথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নির্যাতন রোধ ও তাদের নিজ ভূমিতে প্রত্যাবাসনে ওআইসির ভূমিকা হতাশাজনক। মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ঐক্য থাকলে মিয়ানমার থেকে মুসলিমদের নির্যাতন করে কেউ বের করে দিতে পারতো না। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় যে নির্যাতন হয়, তা হতো না।’

রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর গুলিস্তান মহানগর নাট্যমঞ্চের কাজী বশির মিলনায়তনে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব একথা বলেন। আশেকানে গাউছিয়া রহমানিয়া মইনিয়া সহিদীয়া মাইজভান্ডারীয়া এই আয়োজন করে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারে যখন রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর অকথ্য নির্যাতন হচ্ছিল, তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছিল, তখন ওআইসি কোনও সম্মেলনও আহ্বান করতে পারছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে সেটি পরে অনুষ্ঠিত হয়।’

অনুষ্ঠানে সৈয়দ সহিদ উদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে সাবেক স্বরাষ্ট্রপ্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এই উপমহাদেশে কোনও যুদ্ধ-বিগ্রহের মধ্য দিয়ে নয়, তরবারির মাধ্যমে নয়, পীর-আউলিয়াদের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অথচ আজ একটি পক্ষ পীর আউলিয়াদের ব্যাপারে মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে নানা ধরনের কটূ কথা বলতে দ্বিধা করে না। অথচ তাদের হাত ধরেই এই উপমহাদেশের মানুষ ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় গ্রহণ করেছে।’

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘আমাদের দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে পৃথিবীর সামনে উদাহরণ। এদেশে ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। কিন্তু, কিছু কিছু মানুষ ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির করার চেষ্টা করে। ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির মাধ্যমে মৌলবাদ সৃষ্টির অপচেষ্টা চালায়। এগুলোর ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে, যাতে করে কেউ বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে না পারে। সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।’