ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে আহত ৫৫

খুলনার নতুন দিয়ায় ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়িঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে এখন পর্যন্ত ৫৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। সোমবার ( ১১ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ঝড়ের কারণে বরিশালে সাত জন আহত হয়। বর্তমানে তারা বরিশাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। অপরদিকে, ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলাতে আহত ১১ জনের মধ্যে ভর্তি আছেন ছয় জন, বাকি পাঁচ জন হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। একই জেলার চরফ্যাশনে আহত হওয়া সাত জনের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি আছেন পাঁচ জন, বাকি ‍দুই জনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, পটুয়াখালীর দশমিনাতে আহত হওয়া দুই জনই হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

ঝড়ে ঘর বিধ্বস্ততিনি আরও জানান, বরগুনা সদরে আহত হওয়া ২৬ জনের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আট জনকে, হাসপাতাল থেকে বাকি ১৮ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে খুলনার কয়রা এবং সাতক্ষীরা সদরে একজন করে আহত হয়েছেন এবং তারা দু’জনই হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

আয়শা আক্তার বলেন, ‘বুলবুলের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও চাঁদপুর—মোট ১৪ জেলার ১০৮টি উপজেলায় তিন হাজার ৯৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়। সেখানে এক হাজার ৪৮৪টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।’

চাঁদপুরে চার শতাধিক ঘর বিধ্বস্ততিনি আরও বলেন, ‘গত শনিবার (৯ নভেম্বর) থেকে ঘূর্ণিঝড় কবলিত এলাকার স্বাস্থ্য বিভাগের সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া, দুর্যোগ মোকাবিলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আটটি নির্দেশনা দেয়। স্থানীয় প্রশাসন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের কাজ করতে বলা হয়।’

শরীয়তপুর এবং গোপালগঞ্জে দুই জন করে মারা গেলেও এ দুই জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত ১৪ দুর্যোগপূর্ণ (বুলবুল) জেলার অর্ন্তগত নয় বলে জানান ডা. আয়শা আক্তার।