ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার এদিন তার অফিসিয়াল হ্যান্ডল থেকে টুইট করেছেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য ও মৈত্রীকে ক্ষুণ্ণ করার লক্ষ্যেই এটি একটি অপচেষ্টা।’
এর আগে ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকেও একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, ‘এই চিঠি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিদ্বেষপূর্ণ। এর উদ্দেশ্য বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করা ও সামাজিক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা।’
‘জনপরিসরে ভারত সম্পর্কে ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা ও ভুল তথ্য প্রচার করার এই অপচেষ্টা অত্যন্ত গর্হিত ও অনুচিত’ বলেও ওই বিবৃতিতে মন্তব্য করা হয়।
‘এই রায় হিন্দুরাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে এবং ভারতের হিন্দুরা চিরদিন কৃতজ্ঞতার সঙ্গে এই রায় মনে রাখবেন’ বলেও প্রধানমন্ত্রীর ‘স্বাক্ষরিত’ ওই চিঠিতে মন্তব্য করা হয়।
ওই টুইটটি করা হয়েছিল গত ১২ নভেম্বর, অর্থাৎ বাবরি মসজিদ-রামমন্দির বিতর্কে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার তিনদিন পরেই।
এর দিন কয়েকের মধ্যেই বাংলাদেশের কয়েকটি পোর্টাল ও সংবাদপত্রের অনলাইন সংস্করণে এই ‘চিঠি’র প্রসঙ্গ তুলে খবর পরিবেশন করা হয় যে, প্রধানমন্ত্রী মোদি সত্যিই ভারতের প্রধান বিচারপতিকে এ ধরনের একটি চিঠি লিখেছেন।
এরপরই গোটা বিষয়টি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের নজরে আসে এবং ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন বিষয়টির কড়া নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি জারি করে।
কিন্তু বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে ভারত শুধু তাতেই থেমে থাকেনি। এরপর দিল্লি থেকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এতে তীব্র নিন্দা জানিয়ে এই ‘অপচেষ্টা’র বিরুদ্ধে টুইট করে।
ভারতের শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, দুদেশের মানুষের সম্পর্ক বিষিয়ে দেওয়ার চেষ্টাতেই যে এই ‘ষড়যন্ত্র’ রচনা করা হয়েছিল তাতে কোনও সন্দেহ নেই। আর সে জন্যই তারা এটিকে অঙ্কুরে বিনাশ করতে চেয়েছেন।