রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে তদন্ত করার অনুমতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) আইসিসি এ অনুমোদন দিয়ে প্রি-ট্রায়াল কোর্ট তাদের কৌঁসুলিকে এ বিষয়ে কাজ করার অনুমতি দেন।
ফলে আইসিসির কৌঁসুলির অফিস এখন বিশ্বাসযোগ্য সূত্রের কাছ থেকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং প্রকৃত তথ্য জানার জন্য প্রমাণ সংগ্রহের কাজটি শুরু করবে।
আইসিসির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই তদন্ত যতদিন লাগবে ততদিন চলবে এবং অপরাধ সংঘটনের যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলেই কেবল আদালতকে সমন বা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার অনুরোধ জানাবেন সংশ্লিষ্ট কৌঁসুলি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সমন বা পরোয়ানা পালন করার দায়িত্ব অন্যান্য দেশগুলোর এবং রোম স্ট্যাটুটের ( ১৯৯৭ সালের ১৭ জুলাই রোম শহরে গৃহীত নীতিমালা) সদস্য দেশগুলোর বাধ্যবাধকতা আছে আইসিসিকে সহযোগিতা করার।
এর আগে ৪ জুলাই কৌঁসুলির অফিস আদালতের কাছে তদন্ত শুরু করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করলে আইসিসি সবার কাছ থেকে এ বিষয়ে মতামত চায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মিয়ানমারের নির্যাতনের কারণে প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে এবং এই অপরাধের তদন্ত না হওয়ার মতো কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই বলে মনে করে আইসিসি।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইনে ২০১৭ এর ২৫ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনী ও তাদের মদতে স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন হত্যা, লুটপাট, ধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী নানা ভয়াবহ নির্যাতন শুরু করে। ফলে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশ সীমান্তে এসে জড়ো হতে থাকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা। মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ সরকার। এসময়ে আসা সাত লাখসহ মোট দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বর্তমানে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে, চলতি সপ্তাহে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক কোর্ট অফ জাস্টিসে গাম্বিয়া মামলা করেছে এবং আর্জেন্টিনাতে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচিসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ইউনির্ভাসাল জুরিসডিকশনের অধীনে মামলা হয়েছে।