ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত মহিনকে ঢামেকে স্থানান্তর

মহিন মিয়া সোহেলব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত মহিন মিয়া সোহেলকে পঙ্গু হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দবাগে ট্রেন দুর্ঘটনায় সোহেলের স্ত্রী নাজমা বেগম, সাত বছরের ছেলে নাফিজ এবং শাশুড়ি আহত হন। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় তার দুই বছর বয়সী মেয়ে সোহা। সোহেল, নাজমা ও ছেলে নাফিজ পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আর শাশুড়ি আছেন সিএমএইচে।

পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সোহেলের দুই পা-ই ভেঙে গেছে। পঙ্গু হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হলেও গত দু’দিন ধরে তার পেটে সমস্যা হচ্ছে। পেট ফুলে যাচ্ছে। হয়তো তার লিভারে আগে থেকেই সমস্যা ছিল অথবা দুর্ঘটনায় সে চাপা ব্যথা পেয়েছে। যেটা এতদিন বোঝা যায়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাকে ঢামেকে পাঠাচ্ছি প্রয়োজনীয় টেস্ট করার জন্য। আমরা নিজেরাও তার সঙ্গে যোগাযোগ রাখবো।’

ওই দুর্ঘটনায় আহত মোট ১৩ জন এই হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলেও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ১১ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দবাগ রেলস্টেশনে তূর্ণা নিশীথা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত ও অর্ধ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। তূর্ণা নিশীথা ট্রেনকে মন্দবাগ রেলস্টেশনে দাঁড়ানোর জন্য সিগন্যাল দেওয়া হয়। ওই সিগন্যালে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস প্রধান লেন থেকে ১ নম্বর লাইনে যেতে শুরু করে। ট্রেনটির ছয়টি বগি ১ নম্বর লাইনে উঠতে পেরেছিল। অন্য বগিগুলো প্রধান লেনে থাকা অবস্থায় তূর্ণা নিশীথা সিগন্যাল অমান্য করে। এতেই দুর্ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন:

 

নিহতদের পরিবার এক লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ পাবে: রেলমন্ত্রী

সিগন্যাল মানেনি তূর্ণা

দুর্ঘটনাস্থলে রিলিফ ট্রেন, উদ্ধার কাজ চলছে

ট্রেন দুর্ঘটনা: ৩টি তদন্ত কমিটি গঠন

কসবায় দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১৫