এর আগে শনিবার ( ১৬ নভেম্বর) দুপুরে মহিনকে পঙ্গু হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দবাগে ট্রেন দুর্ঘটনায় সোহেলের স্ত্রী নাজমা বেগম, সাত বছরের ছেলে নাফিজ এবং শাশুড়ি আহত হন। ঘটনাস্থলেই মারা যায় তার দুই বছর বয়সী মেয়ে সোহা। সোহেল, নাজমা ও ছেলে নাফিজ পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আর শাশুড়ি রেনু বেগম আছেন সিএমএইচে।
দুপুরে পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সোহেলের দুই পা-ই ভেঙে গেছে। পঙ্গু হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হলেও গত দু’দিন ধরে তার পেটে সমস্যা হচ্ছে। পেট ফুলে যাচ্ছে। হয়তো তার লিভারে আগে থেকেই সমস্যা ছিল অথবা দুর্ঘটনায় সে চাপা ব্যথা পেয়েছে। যেটা এতদিন বোঝা যায়নি।’
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মহিনের মামা বলেন, পঙ্গু হাসপাতাল থেকে তারা প্রথমে মহিনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে জানানো হয়, তার আইসিইউ সাপোর্ট প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু তাদের আইসিইউ সিট ফাঁকা না থাকায় তারা সেটি দিতে পারবে না।
পরে সেখান থেকে ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে বলা হয়, ওষুধ ছাড়াই শুধু আইসিইউ বাবদ প্রতিদিন ২০-২৫ হাজার টাকা খরচ হবে। কিন্তু এই ব্যয় আমাদের পক্ষে চালানো সম্ভব নয়। পরে এ হাসপাতালে নিয়ে এসছি, এখানে খরচ একটু কম। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। কিছু পরীক্ষা করতে দিয়েছেন। রাতের দিকে সেগুলোর রিপোর্ট পাওয়া গেলে চিকিৎসকরা সর্বশেষ অবস্থা জানাতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, ১১ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দবাগ রেলস্টেশনে তূর্ণা নিশীথা ও উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেন সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত ও অর্ধ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। তূর্ণা নিশীথা ট্রেনকে মন্দবাগ রেলস্টেশনে দাঁড়ানোর জন্য সিগন্যাল দেওয়া হয়। ওই সিগন্যালে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস প্রধান লেন থেকে ১ নম্বর লাইনে যেতে শুরু করে। ট্রেনটির ছয়টি বগি ১ নম্বর লাইনে উঠতে পেরেছিল। অন্য বগিগুলো প্রধান লেনে থাকা অবস্থায় তূর্ণা নিশীথা সিগন্যাল অমান্য করে। এতেই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন:
ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত মহিনকে ঢামেকে স্থানান্তর