নিরাপদ পানি প্রাপ্যতাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

ওয়াশ গভর্নেন্স ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা শীর্ষক গোলটেবিলস্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আগে পানি প্রাপ্যতাকে গুরুত্ব দেওয়া হতো। এখন আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি নিরাপদ পানি প্রাপ্যতাকে। অর্থ বরাদ্দের চেয়ে নিরাপদ পানি প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে অপচয়। অপচয় রোধ এবং এক্ষেত্রে জনগণকে আরও বেশি সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।
রবিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে দৈনিক ভোরের কাগজ কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে ‘ওয়াশ গভর্নেন্স এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্যমাত্রা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। ওয়াটার ইন্টিগ্রিটি নেটওয়ার্কের (ডাব্লিউআইএন) সহায়তায় এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ ও ভোরের কাগজ যৌথভাবে এই বৈঠকের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, নিরাপদ পানি সরবরাহ ও মৌলিক স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করতে দেশে পর্যাপ্ত আইন ও নীতিমালা রয়েছে। তবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়হীনতা, বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অসম প্রতিযোগিতা এবং সুশাসনের অভাবের কারণে এ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
অনুষ্ঠানে অন্য বক্তারা বলেন, টেকসই উন্নয়নে ২০৩০ সালের ১৭টি অভীষ্ট লক্ষ্যের মধ্যে অন্যতম হলো ‘অভীষ্ট-৬’ যার উদ্দেশ্য হলো, সবার জন্য নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। বিশ্বজুড়ে পানি এবং স্যানিটেশন নিয়ে চলমান উদ্বেগেরই প্রতিফলন এটি। এ লক্ষ্য অর্জনে শক্তিশালী ওয়াটার গভর্নেন্স একান্ত অপরিহার্য বলে বিবেচিত। তবুও অনেক দেশেই ওয়াশ গভর্নেন্স কাঠামো সবল এবং সমন্বিত নয়।
ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় বৈঠকে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ড. আনোয়ার জাহিদ, ভিলেজ এডুকেশন রিসোর্স সেন্টারের (ভিইআরসি) নির্বাহী পরিচালক মো. ইয়াকুব হোসেন, এসআইএমএভিআই-এর কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর অলোক মজমুদার, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথের নির্বাহী পরিচালক এস এম এ রশীদ প্রমুখ।