সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী

শিখা অনির্বাণে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা (ছবি: ফোকাস বাংলা)
সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৯ উপলক্ষে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে ঢাকা সেনানিবাসের ‘শিখা অনির্বাণে’ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান তারা। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের মহান আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানানোর অংশ হিসেবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি বৃহস্পতিবার সকালে শিখা অনির্বাণের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রপতিকে অভিবাদন জানান। রাষ্ট্রপতি সেখানে রক্ষিত পরিদর্শক বইয়ে স্বাক্ষর করেন। এর আগে রাষ্ট্রপতি শিখা অনির্বাণে এসে পৌঁছালে তিন বাহিনী প্রধানগণ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) রাষ্ট্রপতিকে অভ্যর্থনা জানান।শিখা অনির্বাণে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা (ছবি: ফোকাস বাংলা)

পরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শিখা অনির্বাণ চত্বরে আসেন এবং ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি শিখা অনির্বাণ চত্বরে সংরক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী এবং বিমান বাহিনীর বাছাইকৃত চৌকস সদস্যের একটি দল এসময় গার্ড অব অনার প্রদান করেন এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে। 

এর আগে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে এসে পৌঁছালে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল আবু মোজাফ্ফর মহিউদ্দিন মোহাম্মাদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের (এএফডি) প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।শিখা অনির্বাণ

শিখা অনির্বাণে শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব শেষে প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে যান, যেখানে তিন বাহিনী প্রধানরা তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রীকে পিএসও এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মহাপরিচালকরা অভ্যর্থনা জানান।

১৯৭১ সালের এই দিনে সেনা, নৌ এবং বিমানবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দখলদার পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত আক্রমণ শুরু করে। ফলে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় ত্বরান্বিত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীনের পর থেকে এই দিনটি প্রতিবছর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন- সশস্ত্র বাহিনী দিবস আজ