বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫ জনের নাম রয়েছে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্রে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে আরও ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
আজীবন বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন— মেহেদী হাসান রবিন, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. মেফতাহুল ইসলাম (জিয়ন), মো. মুজাহিদুর রহমান, মেহেদী হাসান রাসেল, এহতেশামুল রাব্বী (তানিম), খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম (তানভীর), মুনতাসির আল জেমি, এএসএম নাজমুস সাদাত, মো. শামীম বিল্লাহ, মোর্শেদ আমর্ত্য ইসলাম, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, মুজতবা রাফিদ, মো. মিজানুর রহমান, মো. আশিকুল ইসলাম, এস এম মাহমুদ, ইশতিয়াক আহমেদ (মুন্না), অমিত সাহা, মো. মাজেদুর রহমান, মো. শামসুল আরেফিন, মোয়াজ আবু হোরায়রা, মো. আকাশ হোসেন, মো. মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল ও মুহতাসিম ফুয়াদ।
এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি পাওয়া ছয় শিক্ষার্থী হলেন—আবু নওশাদ সাকিব, মো. সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ গালিব, মো. শাওন মিয়া, সাখাওয়াত ইকবাল অভি ও ইসমাইল।
বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান জানান, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিন তাদের বহিষ্কার করে।
এ ঘটনায় গত ৭ অক্টোবর রাজধানীর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। এ মামলার সব আসামি বর্তমানে কারাগারে আছে। তদন্তে নেমে পুলিশ এজাহারের ১৬ জনসহ মোট ২১ জনকে গ্রেফতার করে। গত ১৩ নভেম্বর মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে জমা দেয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। চার্জশিটে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন...
আবরার হত্যায় ২৫ আসামির কার কী দায়
আবরার হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয় যে ১১ জন
আবরার হত্যা মামলার প্রতিবেদন ১৮ নভেম্বর
আবরার হত্যা: মাদক দিয়ে ‘গণপিটুনির নাটক’ সাজাতে চেয়েছিল ছাত্রলীগ
‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের না চিনলে শিক্ষার্থীদের ওপর নির্যাতন চলতো’
বুয়েটে আবরার হত্যা: ছাত্রলীগ থেকে ১১ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার
২০০৫ ও ২০১১ নম্বর রুম ছিল ছাত্রলীগের টর্চার সেল
আবরারকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ