রবিবার (২৪ নভেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয় বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। এদিকে সংসদীয় কমিটিকে জানানো হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ নতুন এমপিওভুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের অতিরিক্ত বরাদ্দ পেয়েছে, যা দিয়ে আরও কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সুযোগ রয়েছে। অপরদিকে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাবিভাগের নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য চলতি অর্থবছরে অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজনীয়তার কথা কমিটিকে জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এ সময় নীতিমালায় নানা ধরনের ত্রুটি থাকার অভিযোগ করা হয়। এতে বলা হয়, দেশের আর্থসামাজিক অবস্থা ও ভৌগোলিক অবস্থানের প্রেক্ষাপটে এই নীতিমালা সঠিক হয়নি। এই নীতিমালায় দেশের অনুন্নত অঞ্চল ও উন্নত অঞ্চলকে সঠিকভাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। কারণ, একটি অনুন্নত অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা আর পাসের হার কখনও উন্নত অঞ্চলের মতো হবে না। নীতিমালার ত্রুটির কারণে কোনও কোনও এলাকার বেশি সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছে। বিপরীতে অনেক এলাকার কোনও প্রতিষ্ঠানই এমপিওভুক্ত হতে পারেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদীয় কমিটির সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এমপিওভুক্তি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। দেশের আর্থসামাজিক ও ভৌগোলিক প্রেক্ষাপটে এই নীতিমালা সঠিক নয় বলে আমাদের কাছে মনে হয়েছে। কারণ, একটি দরিদ্র ও উন্নত এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ও পাসের হার একই ধরনের হওয়ার সম্ভাবনা কম। এজন্য আমরা এই নীতিমালা পর্যালোচনা করতে বলেছি।
তিনি বলেন, যেসব এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তুলনামূলকভাবে এমপিওবঞ্চিত হয়েছে, আমরা সেখানকার যোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন করে এমপিওভুক্তির জন্য বলেছি। বলতে পারেন একপ্রকার চাপ দিয়েছি।
জানা গেছে, এমপিওভুক্ত নীতিমালা পর্যালোচনার জন্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এদিকে বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, নতুন এমপিওভুক্ত (ভোক, বিএম ও কৃষি) ৫২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ১৯ কোটি ৪৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭০০ টাকা প্রয়োজন। আর মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন (নতুন ও বিদ্যমানসহ) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য চলতি অর্থবছরে ৫৪৪ কোটি ৫৭ লাখ ২৭ হাজার ৮২০ টাকা প্রয়োজন।
কমিটির সভাপতি মো. আফছারুল আমীনের সভাপতিত্বে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মো. আব্দুল কুদ্দুস, ফজলে হোসেন বাদশা, মো. আবদুস সোবহান মিয়া এবং মাহী বদরুদ্দোজা চৌধুরী বৈঠকে অংশ নেন।