পাটপণ্যের উৎপাদন বাড়াতে বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করা হবে: পাটমন্ত্রী

চীনের রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) মিলসমূহ আধুনিকায়ন করে বহুমুখী পাটপণ্যের উৎপাদন বাড়াতে বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করা হবে।’  মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিংয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা সৈকত চন্দ্র হালদার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, সাক্ষাৎকালে দু’ দেশের বস্ত্র ও পাট শিল্পের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এবং এর অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়।

এ সময় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী চীনের রাষ্ট্রদূতকে জানান, ঐতিহ্যবাহী সোনালি আঁশ পাট বাংলাদেশের সমৃদ্ধিকে আরও ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে। সারাবিশ্বে পাটের ব্যবহার ছড়িয়ে দিতে সরকার নানা কর্মপরিকল্পনা নিয়েছে। এই পাটের মাধ্যমেই বাংলাদেশ আরও বেশি সম্মান পাবে। সারাবিশ্ব বাংলাদেশকে অনুকরণ করবে।

মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন পাট থেকে সোনালি ব্যাগ তৈরি হচ্ছে। এই ব্যাগ পরিবেশবান্ধব। এটি  সহজে পচে যায়। ফলে পরিবেশ দূষণের সম্ভাবনা নেই। বাণিজ্যিকভাবেও সোনালি ব্যাগ উৎপাদনে কাজ করছে সরকার। প্রাথমিক পর্যায়ে স্বাভাবিক পলিথিনের তুলনায় এই  ব্যাগের দাম কিছুটা বেশি হবে। তবে উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দামের সমন্বয় হয়ে যাবে। “সোনালি ব্যাগ” নামটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ করা নাম। সারা বিশ্বে এই নামেই পরিচিত হবে পাটের তৈরি পলিথিনের ব্যাগ। এই ব্যাগ পরিবেশবান্ধব এবং পুনরায় উৎপাদনে সক্ষম।’

সাক্ষাৎকালে চীনের রাষ্ট্রদূত জানান, ‘বাংলাদেশ ও চীনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। চীন আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে, বাংলাদেশ তাদের বন্ধু প্রতীম দেশ। দু’দেশের নিয়মিত বাণিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হচ্ছে। সেজন্য তারা বস্ত্র ও পাট খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে চায়।’

এ বৈঠকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বিজেএমসির চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত সচিব আবু বকর সিদ্দিক, বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান গাজী গোলাম মর্তুজা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, পাটজাত পণ্যের উদ্যোক্তারা এ পর্যন্ত ২৮৫  রকমের বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন করেছেন।