ফিলিস্তিনিদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাএকটি স্বাধীন দেশে নিরাপত্তা ও মর্যাদাসহ এবং ন্যায়সঙ্গতভাবে বসবাসে ফিলিস্তিনি জনগণের আইনগত বৈধ অধিকার এবং তাদের প্রত্যাশা পূরণে হাতে হাত রেখে এক সঙ্গে কাজ করতে বিশ্ব সম্প্রদয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংহতি দিবস পালন উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ১৯৬৭ সালের আগের সীমান্তের সঙ্গে দুই রাষ্ট্র তত্ত্বের ভিত্তিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও দেশটির রাজধানীতে আল কুদস আল শরীফ প্রতিষ্ঠার স্বীকৃতি দাবির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ তার জন্মলগ্ন থেকেই ফিলিস্তিনি ভাই-বোনদের ন্যায়সঙ্গত ও আইনগত সংগ্রামের প্রতি শর্তহীনভাবে অব্যাহত সংহতি প্রকাশ করে আসছে। নির্যাতন ও শোষণের বিরুদ্ধে নিজেদের মুক্তি সংগ্রামের অনুপ্রেরণা থেকেই ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আমাদের দৃঢ় অবস্থানের প্রেক্ষিত তৈরি হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত ন্যাম সম্মেলনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ভাষণে এটি প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি এ ভাষণে বলেছিলেন, ‘বিশ্ব আজ দুটি ভাগে বিভক্ত, শোষক আর শোষিত। আমার অবস্থান খুবই পরিষ্কার, আমি শোষিতের পক্ষে।”

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অবস্থান ন্যায়ের পক্ষে এবং সাংবিধানিকভাবেও আমরা নির্যাতিত ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে। আমরা সারাবিশ্বে সাম্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশিকতা ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে।’

তিনি বলেন, ‘এই দিনে নিষ্ঠুরতা, নির্যাতন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে এবং আল কুদ্স সুর বাহের শহরে ওয়াদি হাম্মাসে ফিলিস্তিনিদের বিপুল সংখ্যক বাড়ি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়াসহ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে আমরাও নিন্দা জানাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘ প্রস্তাব, আরব শান্তি উদ্যোগ এবং কাতার রোড ম্যাপের আলোকে ফিলিস্তিন সমস্যার সম্মানজনক ও গ্রহণযোগ্য সমাধানের পক্ষে আমাদের নীতিগত অবস্থান বজায় রেখে চলেছি।’ তিনি কোনও পূর্বশর্ত ছাড়াই এটি বাস্তবায়নে ইসরাইলের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানান। সূত্র: বাসস।